চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের হিন্দু নির্যাতন আর বিচারের নামে প্রহসন একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে! যখন যাকে ইচ্ছা তাঁকেই গ্রেপ্তার, মামলা ঠুকে দেয়া হচ্ছে। তার জন্য কোনো তথ্য প্রমাণের দরকার নেই।
এবার সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে পুলিশের কাজে বাধাসহ আরও চার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন, মঙ্গলবার (৬ মে) সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ ভার্চ্যুয়াল শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
এইসব ঘটনা যে মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনেই ঘটল এবং চিন্ময় প্রভুকে বন্দি রাখারই ষড়যন্ত্র বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে।
সব কিছু ছাপিয়ে চিন্ময় দাস সমাজের প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী কণ্ঠস্বর, তাঁর গ্রেপ্তার নিয়ে দেশজুড়ে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। সরকার যেখানে এটিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ইস্যু হিসেবে তুলে ধরছে, সেখানে নাগরিক সমাজ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বিষয়টিকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার হরণ হিসেবে দেখছে।
একজন সচেতন নাগরিক লিখেছেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতের ভিন্নতা থাকা স্বাভাবিক, তবে তার নিষ্পত্তি হওয়া উচিত ন্যায়বিচার ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে, যেন কোনো অবস্থাতেই তা নির্যাতন এবং দমন পীড়ন না হয়। আমরা অতিত থেকে শিক্ষা নেই না- যে চেয়ারে বসে সেই মনে করে আমরা চিরকাল চেয়ারেই থাকব । চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মামলা শুধু একজন ব্যক্তির নয়, এটি একটি রাষ্ট্র কীভাবে তার সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের সঙ্গে আচরণ করে, তার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। তাঁকে অবশ্যই মুক্তি দেওয়া হোক।