ঢাকা: ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে বর্তমানে বিভক্ত বাংলাদেশ। দেশে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করেই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত এত সহানুভূতিশীল, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার কিসের ভিত্তিতে ‘মানবিক করিডর’ প্রদানের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠছে স্বাভাবিকভাবেই।

এই ইস্যুতে কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, “সরকারের উচিত ছিল, দায়িত্ব ছিল এই বিষয়টা নিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা” ।

উল্লেখযোগ্য যে, খলিলুর রহমান মানবিক করিডোর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আরাকান আর্মি, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মিয়ানমার সরকার সকলের সাথে আলোচনা করে তারপর তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে গিয়েছিলেন।

খলিলুর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবকে আমরা বলেছি, রাখাইনে যে মানবিক সমস্যা, যে সংকট সেটা মোকাবিলার জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যের বিকল্প নেই। সেই কাজটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানেই হবে।’

খলিলুর রহমান বলেন, “আলোচনা চলছে। আমরা অবশ্যই সঠিক সময়ে জাতির কাছে এটি প্রকাশ করব।”

তিনি বলেন, যেহেতু জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা প্রদান করতে চায়, আমরা তাতে সমর্থন জানাতে চাই। এটি রাখাইনকে স্থিতিশীল করতে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।”

উল্লেখযোগ্য যে, রাখাইনের নাগরিকরা খাদ্য আর ওষুধ সঙ্কটে ভুগছে। তাদের অবস্থা শোচনীয়। রাখাইনের দুরবস্থায়, মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে করিডোরের প্রস্তাব দিয়েছে জাতিসংঘ।

যদিও,  এ নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। এবং বেশ কিছু শর্তও দেয়া হয়েছে।

জানা যাচ্ছে,  রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার জন্য কয়েকটি শর্ত জাতিসংঘকে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে- রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি, সবার জন্য সমানভাবে ত্রাণ বিতরণ, শর্তহীন ত্রাণ বিতরণ। এসব শর্ত না মানলে অবশ্য মানবিক করিডোর দিতে রাজি নয় বাংলাদেশ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *