ঢাকা: এখন তো আর চাকরি দিতে পারছেন না ইউনূস, বেকার সমস্যায় ধুঁকছে ছেলেমেয়েরা, আর সাথে সাথে ইউনূসের মুখের ভাষা পাল্টে গেলো।

অথচ চাকরিতে কোটা সরানোর আন্দোলনের কলা বেচেই মহাজন ক্ষমতা’র দখল নিয়েছেন, এখন চাকরি দিতে না পেরে উদ্যোক্তা হইতে কয়!

মবসন্ত্রাসের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে অন্যের পকেট থেকে টাকা নিয়ে উদ্যোক্তা হবে নাকি জনগণ? সে কথা তো বললেন না ইউনূস?

বরং তিনি বলতে পারতেন-

“সবাই উদ্যোক্তা হলে চাকরি সৃষ্টি হবে, আর সবাই চাকরি করলে নতুন উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।”

তিনি বলেছেন, চাকরি নয়, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য মানুষের জন্ম হয়েছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মানুষ কারো চাকরি করার জন্য আসে নাই। মানুষের জন্ম হয়েছে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য। আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সবাই উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারে।’ নিজের দোষ কীভাবে ঢাকবেন তা ভালো জানেন তিনি।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খিলজি রোডে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এখনকার প্রজন্ম আগের মতো নয়। এখন গ্রামের ছেলেমেয়েরাও অনেক কিছু বোঝে, জানে, নিজস্ব চিন্তাভাবনায় সমৃদ্ধ।

কাজেই এদের জন্য এমন একটি আর্থিক ও সামাজিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে তারা নিজস্ব উদ্যোগে কাজ করতে পারে, চাইলে এককভাবে কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি একটি কাঠামো তৈরি করতে পারি যেখানে মানুষ নিজের উদ্যোগ শুরু করতে পারবে, এমনকি চাইলে বিনিয়োগকারী হিসেবেও যুক্ত হতে পারবে—তাহলে এই পরিবর্তন বাস্তবায়ন সম্ভব।’

অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, যে কেউ চাইলে প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ করতে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে ব্যক্তি উদ্যোগেও এগিয়ে যেতে পারবে। এমনকি কেউ চাইলে বিনিয়োগ সংগ্রহ করে নিজ এলাকায় উদ্যোগ পরিচালনা করতে পারবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *