ঢাকা: সত্য বিচার করাটা আজকের দিনে দাঁড়িয়ে অপরাধ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে আটক করল ঢাকা পুলিশ।এভাবেই আটক চলেছে একজনের পর একজন। কারাগারে জায়গা নেই। অথচ অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে নিশ্চিন্তে।
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে! খায়রুল হক ২০১১ সালে অবসরে যান এবং বর্তমানে ৮১ বছর বয়সী।
অবসরের এত বছর পর, একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজকে যদি এ বি এম খায়রুল গ্রেপ্তার হন, তাহলে কাল কি ফয়েজ সিদ্দিকী গ্রেপ্তার হবেন না? কে বলতে পারে?
খায়রুল হক একজন ন্যায়পরায়ণ, বিজ্ঞজন—ইউনূসের মতো এমন দুর্নীতিপরায়ণ নন। তাঁর মতো একজনকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মূলত প্রতিশোধ পরায়ণ থেকেই বিচারপতি খায়রুল হক সাহেবকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করেছে ইউনূস সরকার।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে তাঁকে পাকড়াও করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। তাঁর বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা রয়েছে।
ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মুহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, খায়রুলকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডে গোয়েন্দা বিভাগের দফতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বিএনপির জ্বালাপোড়া বেশি ছিলো তাঁকে নিয়ে। কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না, তা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছিল খালেদা জিয়ার দল বিএনপি।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে থাকাকালীন খায়রুলের কলমের খোঁচাতেই বাতিল হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
ফতোয়া অবৈধ ঘোষণার রায়ও তিনিই দিয়েছিলেন। হাই কোর্টে থাকাকালীন শেখ মুজিবর রহমান হত্যা মামলার রায় দেন তিনি।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক নন বলেও রায় দিয়েছিলেন তিনি।
সব মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির জ্বালা ধরেছে।