ঢাকা: বাংলাদেশের অবস্থা বিগত দেড় বছর ধরে ছন্নছাড়া। শেখ হাসিনার পতনের পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট থেকে দেশ রসাতলে গিয়েছে। উন্নয়নশীল একটা দেশকে টেনে হিঁচড়ে আছাড় দিয়েছে ইউনূস গং।
এই অবস্থায় বাংলাদেশে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তুলে একে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের কাছে এই সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
জাতিসংঘে চিঠি পাঠিয়েছেন সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, যিনি এক সময় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (ইউএনএইচআরসি) প্রেসিডেন্টকে গত ২৮ অক্টোবর এই চিঠি পাঠান আব্দুল মোমেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তিনি সেখানে তুলে ধরেছেন। যেগুলো নিয়ে ভুগছে দেশবাসী।
চিঠিতে মোমেন লিখেছেন, “আমি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি, গত এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে মানবাধিকার, রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও মানবিক অবস্থার ক্রমে অবনতি ঘটছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে সেখানে দমন-পীড়ন, বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড এবং গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞার চিত্র ফুটে উঠেছে।
“এসব বিষয়ে জাতিসংঘ, বিশেষ করে সংস্থাটির মানবাধিকার কাউন্সিল ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর জরুরিভিত্তিতে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।”
তিনি লিখেছেন, “সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গত ১১ মে অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো ও বড় রাজনৈতিক দলের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর দুই দিন পর নিবন্ধন স্থগিত করে কার্যত দলটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।”
