ঢাকা: চাঁদাবাজির গুরু আসাফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বাবা যেমন হয়ে উঠেছেন তেমনি তাঁর সুযোগ্য পুত্র।
এখন তো আরো থলের বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। আসিফের এখন জলে কুমির ডাঙায় বাঘ অবস্থা। যদিও এঁদের ধরার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের প্রশাসনের নেই।
গ্রেপ্তারের আগে জানে আলম অপুর স্বীকারোক্তি: চাঁদাবাজ চক্রের মূল মাস্টারমাইন্ড আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া! হুঁ তাই তো!
গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির সাম্প্রতিক ঘটনায় জানে আলম অপু গ্রেপ্তার হয়েছেন, রিয়াদ ও তার সহযোগীদের সঙ্গেও ধরা পড়েন তিনি।
গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নেওয়ার আগে জানে আলম অপু নিজের স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও রেকর্ড করে এক বন্ধুর হাতে তুলে দেন, যাতে যদি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, ভিডিওটি সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, কেউই ভিডিওটি জনসমক্ষে আনেনি। ওই ভিডিওতে তিনি শুধু নিজের অপরাধ স্বীকার করেননি, বরং চাঁদাবাজ চক্রে জড়িত অন্যদের নামও প্রকাশ করে দিয়েছেন।
তার বক্তব্য অনুযায়ী, এই চক্রের মূল মাস্টারমাইন্ড আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, হান্নান মাসুদ এবং একই দলের আরও কয়েকজন নেতা।
এই আসিফের কেলেঙ্কারি কি কম? একের পর এক ধরা পড়ছেই।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, মাঝে মাঝে রাতে তাঁর কাজ শেষ হতে ভোর হয়ে যায়। সে সময় বাসায় খাওয়া-দাওয়া দেওয়ার মতো কেউ না থাকায় তিনি বেশির ভাগ সময় তিনশ ফুটের (পূর্বাচলে) নীলা মার্কেটে যান হাঁসের মাংস খেতে।
আর বেশি ভোর হয়ে গেলে নীলা মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়, তখন তিনি যান গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিন হোটেলে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর ভিডিও বার্তায় এ ঘটনায় নাম আসা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
ভিডিওতে জানে আলম বলেছেন, যেদিন সাবেক সংসদ সদস্যের বাসা থেকে তাঁরা চাঁদার টাকা নিয়েছিলেন, সেদিন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে গুলশানের একটি জায়গায় তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছিল। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেছেন, ওই দিন তিনি ওই এলাকায় গিয়েছিলেন কি না সে বিষয়টি তাঁর মনে নেই।
ওহ! তাঁর মনে নেই?
চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পাওয়া হেলমেট পরা ব্যক্তি আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে হেলমেট পরা যে কাউকে যদি আমাকে বলে দাবি করা হয়, এটা কতটুকু আসলে বিশ্বাসযোগ্য।’
চাঁদাবাজির ওই ঘটনার সঙ্গে তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মনে হয় না, এখনো কেউ এ রকম কোনো প্রমাণ দিতে পেরেছে আমার সম্পৃক্ততা আছে। বরং আরও যার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, এই সাক্ষাৎকারটা একজন রাজনৈতিক নেতার বাসায় একজনকে জোরপূর্বক নেওয়া হয়েছে বলে যে অভিযোগ এসেছে এটাও অত্যন্ত গুরুতর একটা অভিযোগ।
এবং সেটা পরিবারের দিক থেকে এসেছে। যথেষ্ট রিলায়েবলও (বিশ্বাসযোগ্য) এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে। তো এর সাথে আমার সংশ্লিষ্টতার যে কথা বলা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’