ঢাকা: এই সেই জুলাই কন্যা! ফারিয়া আক্তার তমা! এই শিক্ষিত জেন জি নামক জঙ্গীরা না চেনে মা বাবা, না চেনে শিক্ষক, না জানে দেশপ্রেম!

বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের ঢাকার বাড়ির নীচে অশ্লীল শ্লোগান দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এই মেয়ের সঙ্গী ছিল দশ থেকে বারো জন যুবক ছেলে। তাদের মধ্যে পাঞ্জাবী টুপি পরিহিত দাঁড়িওয়ালা ছিল কয়েকজন। তাই তো বলি, দাঁড়িওয়ালা মানেই সুন্নতি না।

এই নষ্ট ভ্রষ্ট জুলাই কন্যার অশ্লীল শব্দে কন্ঠ মিলিয়ে শ্লোগান দিচ্ছিলো সবাই।

আজ মাত্র এক মাস পর তথাকথিত সেই জুলাই কন্যা দশ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজী মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন।

যে মেয়েটি অশ্লীল শ্লোগান দিয়েছিল ” ফজলু আমার…”, সেই মেয়েটিই হলো গ্রেফতার হওয়া সমন্বয়ক ফারিয়া আক্তার তমা।

জুলাই আন্দোলনের মামলা থেকে অব্যাহতির ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানার করা মামলায় তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় প্রবেশ করে তিনজন ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেন।

সেখানে তারা দেলোয়ার হোসেন নামে একজনকে ‘মামলা থেকে অব্যাহতি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে’ ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

তাদের সাড়ে ৫ লাখ টাকা ব্যবস্থা করে দিলেও শুক্রবার বিকাল ৪টার মধ্যে বাকি টাকা দিতে বলেন। তারা পরিবারটিকে হুমকি ধমকি দিয়ে চলে যান।

ঘটনার পর রাতেই বিমানবন্দর থানার সামনে থেকে সমন্বয়ক নোমান রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে পরে সমন্বয়ক তানজিল ও তমাকে উত্তরার জসিম উদ্দিন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- এএইচএম নোমান রেজা, তানজিল হোসেন ও ফারিয়া আক্তার তমা।

আদালতের পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল মালেক খান।

আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা পেশাদার চাঁদাবাজ বলে জানা যায়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *