ঢাকা: মেরে ফেলছে এইভাবেই ইন্টেরিম এক একজন ব্যক্তিকে। বিনাদোষে কারাগারে নিয়ে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। সে অবস্থায় মানসিক চাপ সহ্য করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
কারাগারে মেরেও ফেলা হচ্ছে, আবার চাপ সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে কেউ কেউ মারা যাচ্ছেন।
এ মৃত্যু কেবল প্রাকৃতিক নয়, বরং রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিষ্ঠুরতার ফলাফল এবং রাষ্ট্রীয় হত্যার শামিল।
একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, জনগণের জনপ্রিয় প্রতিনিধি ও রাজবন্দীর জীবন রক্ষার দায়িত্ব সরকার যথাযথভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
একজন রাজনৈতিক নক্ষত্রের বিদায়, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ছিলেন এডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
নরসিংদী (৪) মনোহরদী-বেলাব এর সাবেক শিল্পমন্ত্রী, এডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন মারা গিয়েছেন। বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান।
নূরল মজিদের ছেলে মনজুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাবা আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। দোয়া করবেন আল্লাহ পাক যেন তাকে জান্নাত নসিব করুন।’
সৎ রাজনীতিবিদদের ধরে ধরে জেলে পুড়ছে ইউনূসের অবৈধ প্রশাসন। সাবেক শিল্পমন্ত্রীকেও কারাগারে নেয়া হয়েছিলো।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালের দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে এনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
পরে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আইসিইউতে রেফার্ড করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থেকে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তিনি নরসিংদী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের সাবেক শিল্পমন্ত্রী ছিলেন।
২০২৪ সালে জঙ্গী আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে, জাতীয় সংসদ বিলুপ্তের মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদ হারান।