রংপুর: বাংলাদেশে এবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটল।
মুহাম্মদ ইউনূসের দেশে পুলিশের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ কেউ নিরাপদ নয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ রংপুরের সেনপাড়া এলাকার ওই বাড়িতে (স্কাইভিউ) হামলার ঘটনাটি ঘটে।২৯ মে হামলার সময় জি এম কাদের বাড়িতে ছিলেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমানের অভিযোগ, এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা এই পৈশাচিক হামলার সঙ্গে জড়িত।
তারা জি এম কাদেরকে ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে রংপুরে তার অবস্থানের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলো।
এখানে উল্লেখ করা জরুরি সার্ভিস আলমের ফেসবুক স্টেটাস। তিনি কাদেরকে নিয়ে যে স্টেটাস দিয়েছিলেন তা এরকম,
“জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় দোসর। বিরোধী দলের যাবতীয় সুবিধা ভোগ করে আওয়ামী লীগকে সরকারি দলের বৈধতা দিয়েছিল এই জাতীয় পার্টি।
প্রত্যেক ইলেকশনের আগে অবৈধ সরকারি দলের বিরোধিতার নামে ভন্ডামি করতো। তারপর নির্বাচনের ঠিক কয়েকদিন আগে জিএম কাদের ভারতে গিয়ে নেগোসিয়েশন করে ডামী বিরোধী দল সেজে বসে থাকতো।।
সেই জিএম কাদের এখনো বাইরে কিভাবে? সরকারকে ধাক্কা না দিলে কি কাজ হয় না? নাকি প্রত্যেকটা কাজের জন্য ছাত্র-জনতাকে নতুন করে মাঠে নামতে হবে”?
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাসভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
এক বিবৃতিতে বলেন, অবৈধ দখলদার ইউনূস সরকার দেশের ডেমোক্রেসি নির্বাসনে পাঠিয়ে মবোক্রেসি প্রতিষ্ঠিত করেছে। দেশে কোনো আইন-শৃঙ্খলা নেই।
কোনো তন্ত্র আর কার্যকর নেই, শুধু মবতন্ত্র ব্যতীত। দেশে কোথাও মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।
সম্প্রতি জি এম কাদেরের বাসায় অতর্কিতভাবে যে নারকীয় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয় আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রথমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা, তার পর জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী, তার পর ভিন্নমতাবলম্বী। এর পর কে? নিশ্চয়ই আপনি বা আপনারা?
কেননা, ‘নগর পুড়িলে, দেবালয় এড়ায় না’। তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আমাদের নিত্যদিনের জীবন প্রবাহে।