ঢাকা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করতে চায়, কিন্তু তারা মনে করছে তাদের কাজে বাধা প্রদান করা হচ্ছে। অথচ বিগত নয় মাসে বাংলাদেশ শুধু ধ্বংসই দেখলো। আজ শনিবার রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিনটি প্রধান দায়িত্ব-নির্বাচন, সংস্কার এবং বিচার-সম্পর্কে আলোচনা হয়।
বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব—নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার—বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।’
‘এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য ও কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।’
‘দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এ দেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।’
‘এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।’
‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সকল কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
তবে মূল কথা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি৷ মব ভায়েলেন্স এখনো আছে৷ গণমামলা তো চলছেই। সরকার এই পর্যন্ত যে সময় পেয়েছে, তাতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া যেতো৷ কিন্তু সংস্কারের কী হচ্ছে তার কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কথা ছাড়া আর কিছু যায় না দেশে। আসলে সরকারের অগ্রাধিকার ছিল সংস্কার ও নির্বাচন৷ কিন্তু গত ৯ মাসে কোনো ধরনের সংস্কার করেনি তারা৷ নির্বাচনেরও কোনো প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে না৷