ঢাকা: বাংলাদেশে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই আর। বলা হয়েছে, দেশ দ্বিতীয় স্বাধীনতা লাভ করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় স্বাধীনতার ফলাফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে জনগণ। সর্বত্র চলছে অন্যায়-অবিচার। তবে নির্বাচনের কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ পরিষ্কার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেছেন, উপদেষ্টাদের আচরণ, কথাবার্তায় স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তারা গণতন্ত্রকে পূর্ণাঙ্গভাবে বিকশিত হতে দেবে না।
বলেন, ১৭ বছর সংগ্রাম করলাম একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। কিন্তু নির্বাচনের তো কোনো নাম-নিশানা দেখতে পাচ্ছি না। ওয়াকিবহাল ব্যক্তিরা বলছেন, আগামী দুই তিন পাঁচ বছরের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তার কারণ বর্তমান সরকার নির্বাচন চায় না। তারা মুখে এটি বলে না, কিন্তু তাদের অঙ্গভঙ্গি, অন্যান্য কথাবার্তায়, উপদেষ্টাদের কথাবার্তায় আমাদের মনে প্রতীতি জন্মেছে যে এরা দেশের গণতন্ত্রকে আবার পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেবে না।’
বলেছেন, অধ্যাপক ইউনূস জগৎ বিখ্যাত ব্যক্তি, বিএনপি ওয়াদা করেছে তারা সবসময় তাকে সমর্থন দেবে। তবে গণতন্ত্রকে পুনর্বাসিত করার জন্যে হাজারো শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করা উচিত। কিন্তু তাদের মধ্যে কী যে চিন্তাভাবনা, এটি আমরা বুঝতে অক্ষম।
বিএনপি শুধু ভালোমতো একটি নির্বাচন চায়। নির্বাচন বিষয়ে তিনি আরো বলেন, ‘ আমরা তো কিছুই চাই না। আমরা শুধুমাত্র একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ যাকে খুশি ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের দলকে ক্ষমতায় নিক আমাদের কোনো আপত্তি নেই’।