ঢাকা: গত ৫ আগস্ট জামাত-বিএনপি সন্ত্রাসীরা পুলিশকে জিম্মি করে অস্ত্র লুট করে। আর এখন তো অস্ত্রের ছড়াছড়ি। হাতে হাতে অস্ত্র নিয়ে ঘোরাফেরা করে সন্ত্রাসীরা। কোনো আইন নেই, প্রশাসন নেই কিচ্ছু নেই।

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার সমস্ত অস্ত্র লুট করার পর পুলিশকে ভিতরে রেখেই আগুন জ্বালিয়ে দেয় থানায়। এরকম বহু ঘটনা আছে।

এখনো থানার লুট হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র উদ্ধার হয় নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বর্তমানে খুব আতংকে দিনযাপন করছে।

এই সকল অতি প্রয়োজনীয় সরকারী স্থাপনা পুড়িয়ে দেয়ায় চিহ্নিত জামাত-বিএনপি সন্ত্রাসীদের বিচার কি করবে ইউনুস সরকার?

এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন, ‘পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলির বিষয়ে তথ্য দিলে পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।’

তিনি বলেন, পিস্তল, শটগানের খবর দিলে ৫০ হাজার টাকা, চায়নিজ রাইফেলে এক লাখ, এসএমজির ক্ষেত্রে দেড় লাখ টাকা, এলএমজির জন্য ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। আর প্রতিটি গুলির জন্য ৫০০ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

তা কয়টা অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে? উদ্ধার করতে পেরেছেন কিছু জাহাঙ্গীর সাহেব?

এবার আবার অন্য কথা বললেন। যতসব বাহুল্য কথা শোনা যায় উপদেষ্টার মুখে।

নির্বাচনের আগেই লুট হওয়া অস্ত্রের অধিকাংশ উদ্ধার হবে, বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীতে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা ট্রাস্টের ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এই কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের আগে অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হবে বলে আশা করছি। প্রতিনিয়ত অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে, যা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় সব থেকে বেশি নিয়োজিত থাকবে আনসার। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ১৩ জন সদস্য।

উপদেষ্টা বলেন, এছাড়া এবারই প্রথমবারের মতো প্রিজাইডিং অফিসারের নিরাপত্তায় একজন আনসার নিয়োজিত থাকবে।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আনসার ব্যাটালিয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *