ঢাকা: একজন মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশের গর্ব, বাংলাদেশের শক্তি। কিন্তু তাঁকে নির্বিঘ্নে বেঁচে থাকতে দেয়া হচ্ছে না।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলার সূর্য সন্তান জনাব ফজলুর রহমান সাহেব পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষকে তাঁর পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মবের থেকে বাঁচতে চান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান।
তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং একই সঙ্গে সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন—এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের মানুষকে দেশের স্বার্থে তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সাহস ও শক্তি জোগাতে।
৭১ এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা একজন ফজলুর রহমান। দল থেকে শোকজ করা হয়েছে, প্রয়োজনে বহিষ্কারও করা হবে, কিন্তু তাঁর ফাঁসির দাবিতে বাড়ী ঘেরাও করবে এটা কেন? তাদের মনে রাখা উচিৎ ফজলুর রহমানদের জন্যই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন।
আমি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াতের বিরুদ্ধে বলেছি, বলে যাবো বলেছেন ফজলুর রহমান।
জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও আলোচিত বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি। এসময় তাঁর স্ত্রী ও ছেলে উপস্থিত ছিলেন।
ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে জানাতে চাই আমার জীবন বড় শঙ্কায় আছে। আমি আমার জীবন নিয়ে যতটা চিন্তিত, তার চেয়ে আমার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বেশি চিন্তিত। মৃত্যুকে আমি ভয় করি না, তবে অপমৃত্যু আমার কাছে বেশি লজ্জাজনক।
ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে বলেছি, আমি বলে যাবো। আমি যে কথা বলেছি এতে যদি কারো প্রতি অসম্মান করে থাকি, আঘাত করে থাকি, তাহলে রাজনৈতিকভাবে তারা এটার জবাব দিবে।
আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। আমি জবাব দিব। এটা পরস্পরকে হত্যা করার কোনো ব্যাপার না। আমার বাসার সামনে মব করার কোনো ব্যাপার না।
তিনি বলেন, আমি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছি। তবে মেরে ফেললেও কোনো জিডি করবো না। ছাত্ররা যদি মনে করে বা ছেলেরা যদি মনে করে আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তাতে অপরাধ হয়েছে, তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করুক, কারাগারে পাঠিয়ে দিক।
দেশ-বিদেশ থেকে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন তিনি, এমনকি একদল ব্যক্তি মব বা দলবদ্ধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তার বাসভবন পর্যন্ত চলে গেছে।
“অপমৃত্যুটা কি আমার কাম্য?,” প্রশ্ন করেছেন মি. রহমান।
পেশায় আইনজীবী বিএনপির এই নেতা বলেছেন, তার বক্তব্যে কেউ ক্ষুব্ধ হয়ে থাকলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।
“যদি কোনো কথা তোমরা মনে করে থাকো যে, আমি দেশের বিরুদ্ধে কথা বলছি বা তোমাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলছি, আমার বিরুদ্ধে মামলা করো, আমাকে গ্রেফতার করো, আমাকে শাস্তি দাও”।
“কিন্তু আমাকে হত্যা করার জন্য আমার বাসা পর্যন্ত মব সৃষ্টি করে গিয়া, যেটা গত একবছর যাবৎ বাংলাদেশে এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে কুখ্যাত নাম মব, সেই মব জাস্টিস আমার ওপরে চলতে পারে কি-না এবং চলবে কি-না, আমি প্রথমে বাংলাদেশের মানুষের কাছে জিজ্ঞাসা করতে চাই,” সাংবাদিকদের বলেন মি. রহমান।