ঢাকা: রাজাকারের পুত্র মির্জা ফখরুলের কথায় না হাসি পায়, না কান্না আসে!
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা কোনোদিনই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না।
তিনি কিন্তু ঠিকই গত ১৭ বছর রাজনীতি করেছেন। সরকারের নিয়মিত সমালোচনা করেছেন। এমনকি গণভবনেও গিয়েছেন।
তাঁর বা তাদের স্বাধীনতা কিন্তু হরণ করেননি শেখ হাসিনা।
বিরোধী দলের মহাসচিব হিসেবে সবচেয়ে সুবিধা এবং সম্মান পাওয়া ব্যক্তিটি হলেন মির্জা ফখরুল।
শেখ হাসিনা কখনোই তাঁকে বলেননি মির্জা ফখরুল রাজনীতি করতে পারবেন না।
অথচ দুই দিনের বৈরাগী এখন ভাতকে বলেন অন্ন। যদিও এখনো এরা ক্ষমতায় আসেইনি।
মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমিন একজন যুদ্ধাপরাধী। ১১ হাজার উল্লেখযোগ্য যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ৭১০ নম্বরে ছিল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ সালে ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার রাজাকার। অনেক হত্যা ধর্ষণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা তিনি সক্রিয়ভাবে সংঘটিত করেছেন ।
জানাতে হয়, ১৯৭৩ সালে আটক থাকা মোট ১১ হাজার দালালের একজন ছিলেন রুহুল আমিন।
সেই তাঁর পুত্র মির্জা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা বলেন।
শেখ হাসিনা মির্জা ফখরুলের মতো রাজাকারের সন্তান না।
মির্জা ফখরুলের কথায় ভাষায় আজ যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, হাসিনার ক্রোধ ঝরে।
এমন অকৃতজ্ঞ মানুষ কী করে হয়? রাজাকারের সন্তান বলেই হয়তো!
রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বিএনপির মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার বিষয়ে মহাসচিব বলেন, আমাদের পাশের দেশে, ভারতবর্ষে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা তার লোকবল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে মাঝে মধ্যেই হুমকি দিচ্ছে যে তারা বাংলাদেশে আক্রমণ করবে।
শুধু তাই নয়, এখানে তারা বিভিন্ন গোলযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা কোনোদিনই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেবো না।
মির্জা ফখরুল যখন জাতির পিতার কন্যার বিরুদ্ধে লাগামহীন কথা বলেন তখন তার চোখেমুখে একজন রাজাকারের সন্তানের ক্রোধ ফুটে ওঠে।