ঢাকা: আইনের শাসন বলে বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পর কিছু আছে নাকি? আইন বলে যে কিছু আছে দেশে জনগণ সেটা ভুলতে বাধ্য হয়েছে। কারণ ইউনূস বাহিনী ভুলতে বাধ্য করেছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন এখন খুব সহজ। বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। চারপাশে খুন, লুটপাট, চাঁদাবাজি, মিথ্যাচার, গুজব, এবং মোব হামলা-সহ নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এই সব ঘটনা মূলত সরকারের অদক্ষতার কারণে ঘটছে।
যখন সরকার তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে ব্যর্থ হয়, তখন মানুষের জীবন, নিরাপত্তা এবং মানবাধিকারের গুরুত্ব ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়।
এর ফলে সমাজে অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা এবং অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। যদি এই অবস্থা চলতেই থাকে, তাহলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে এবং মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার দ্রুত হ্রাস পাবে।
এখানে নির্বাচন কমিশনার যা বললেন তা শুধু হাস্যকর না পাগলামি কথাবার্তা। একদিনে আইনের শাসন কোন দেশে প্রতিষ্ঠা হয়েছে?
কমিশনার যেভাবে গর্বের সাথে বললেন তাতে মনে হচ্ছে এটা নির্বাচন হবে না, আইনের শাসন নতুন করে প্রতিষ্ঠা হবে দেশে!
আইনের শাসন কাকে বলে নির্বাচন কমিশন তা আগামী নির্বাচনে দেখাতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
আজ শনিবার চট্টগ্রামে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারদের সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া হবে। তবে তারা যদি সেই ক্ষমতার যথাযথ ব্যবহার না করেন, তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
তিনি বলেন, যদি যথাসময়ে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে কিন্তু আমরা এটাকে ভালো চোখে দেখব না। কারণ আপনার ক্ষমতা থাকাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ক্ষমতা ব্যবহার করাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা চাই, যে লেভেলে আপনাদের যার যে ক্ষমতা থাকবে- এটা আপনারা ব্যবহার করবেন। আসুন, একটা উদাহরণ সৃষ্টি করি এই দেশে যে আইনের শাসন কাকে বলে, আমরা এই ইলেকশনে এটা দেখাতে চাই। তাতে যা হওয়ার হবে।
ইলেকশন কমিশন আপনাদের পাশে, পিছনে ও সাথে আছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে আপনি যদি আইনের অধীনে থেকে বিধি অনুযায়ী কাজ করেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। সেই নিশ্চয়তা আপনাদের দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আপনারা যারা প্রিসাইডিং অফিসার হবেন, যেদিন ইলেকশন হবে সর্বময় ক্ষমতা আপনাকে দেয়া আছে। রিটার্নিং অফিসার এবং প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া আছে। যদি গোলমাল করে সেন্টার বন্ধ (ভোট বন্ধ) করে দেবেন।
তিনটি সেন্টারে গোলমাল হলে, তিনটি সেন্টার বন্ধ করে দেবেন। দরকার হলে পুরো আসনে ভোট বন্ধ করে দেবেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা সহজে ছাড়ার পাত্র নই। সহজে ছাড়ব না। আপনাদের পিছনে আমরা আছি। আমি নিশ্চিত করছি। ইলেকশন কমিশন ফুল সাপোর্ট দিয়ে যাবে আপনাদের। আপনারা আছেন এটা প্রমাণ দিতে হবে।
আপনার কর্মকাণ্ডে যদি ধারণা পাই আপনি বিশেষ দল বা ব্যক্তির জন্য কাজ করছেন, তাহলে কিন্তু আপনার আইনি ও নৈতিক শক্তি দুর্বল হয়ে যাবে।