ঢাকা: এনসিপি লালবদরের শাবক। এদের হাবভাব দেখে, কর্মকাণ্ড দেখে মনে এরা দেশের ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করে।

অথচ ছাত্রদের দুঃখে এদের টিকিটির নাগাল পাওয়া যায় না। সাহস থাকলে একবার সচিবালয় যেতো যখন পরিস্থিতি গম্ভীর ছিলো, না এরা তখন গায়েব। পরে আবার উড়ে এসে জুড়ে বসে।

ইউনুস সাহেবের পালিত এই এনসিপি আর বৈষম্যবিরোধী পোলাপান।

এরা আবার সরকারের কথা‌ বলে! মনে হয় বাপের সন্তান বাপের দোষ ধরছে।

‘সরকার যদি দায়িত্বশীল আচরণ করতো, তাহলে আসলে এই পরিস্থিতিটা হতো না,’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

তা তিনি যে এতবড় বড় কথা বললেন, শোকের দিন তাদের মুখে হাসি এলো কীভাবে ফটোসেশনে?

তিনি বলেন, ‘গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আসলে এটা সরকার আরও দায়িত্বশীল এবং মানবিক আচরণ করতে পারতো। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, সরকার দায়িত্বশীল আচরণ এবং সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ নিতে না পারায় পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আজ সারা দিনে অনেক ধরনের ঘটনা, আপনারা সচিবালয়ের ঘটনা দেখেছেন।’

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রথমত, মাইলস্টোন কলেজের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের যে ছয় দফা দাবি, তার সঙ্গে আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি সংহতি প্রকাশ করছি। তারা খুবই যৌক্তিক কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে এবং এই দাবিগুলো আসলেই দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের বাস্তবায়ন করা উচিত।’

কোথা থেকে ছাত্রের প্রতিবাদের মাঝে ছাত্রলীগ আসবে? ছাত্রলীগের দোহাই দিয়ে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবিকে খণ্ডন করার অপচেষ্টা চলছে।

নাহিদ বলেন, ‘সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন যাতে ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে এবং সরকারের পদক্ষেপগুলোর সঙ্গে থাকে, সহযোগিতা করে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ সুযোগ-সুবিধা নিতে না পারে।

বিশেষত আমরা সচিবালয়ের ঘটনা বিভিন্ন জায়গায় শুনছি, সেখানে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কাউকে কাউকে দেখা গেছে বা আওয়ামী লীগের যত সোশ্যাল মিডিয়া পেজ আছে, সেখান থেকে কিন্তু এক ধরনের প্রচারণা করা হচ্ছে, মিথ্যা তথ্য দেওয়া হচ্ছে।

সেই জায়গায় আসলে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত এবং মূলত সরকার যদি দায়িত্বশীল আচরণ করতো তাহলে আসলে এই পরিস্থিতিটা হতো না।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *