ঢাকা: নির্বাচনী হাওয়ার মাঝে জামায়াতে ইসলামীর নাটক শুরু হয়ে গেছে।

নির্বাচন কে সামনে রেখে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে জামাত ইসলাম।

পড়ে যাওয়ার নাটক অবশ্য মেটিকুলাস ডিজাইনে ১৯ জুলাই থেকে শুরু করে দিয়েছিলেন।

সোহরাওয়ার্দীতে জামায়াত আমির কিছুক্ষণ কথা বলার পর ঢিপ করে মঞ্চে পড়ে যান।

সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে জড়িয়ে ধরেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি আবার উঠে দাঁড়ান। পরবর্তীতে মঞ্চে বসেই তিনি বক্তব্য আবার শুরু করেন।

ওনার পড়ে যাওয়া স্ক্রিপটেড ছিলো! পাবলিক সিম্প্যাথি আর মিডিয়ার দৃষ্টির জন্য। মেটিকুলাসলি প্ল্যান করা।

এখন নাকি হার্টে তিনটি ব্লক ধরা পড়েছে। কয়বছর পর নির্বাচন হয় আল্লাহ ভালো জানে।

নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা খুঁজছে জামাত এনসিপি।

জামাত নির্বাচন চায় না।

বাস্তবতা হলো সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে জামায়াতে ইসলাম (জাশি) কোন আসন পাবেনা। কিন্তু কিছু সংখ্যক ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

যারা ভোটার, তারা নিজেরাও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, জামাতকে যারা ভোট দিবে তারা রাজাকার।

এই কলঙ্কিত “রাজাকার” ট্যাগ তো সাধারণ মানুষ জামাতকে ভোট দিয়ে নিজেদের নামের সাথে যুক্ত করবেনা।

এখন শুরু হার্টের নাটক। জামায়াত ইসলামের আমির ইউনাইটেড হাসপাতালে গিয়েছিলেন এনজিওগ্রাম করার জন্য।

ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করানো হয়।

মূলত হার্টে রিং পরানোর উদ্দেশ্যেই যাওয়া। কিন্তু পরীক্ষার পর জানা যায়, তার নাকি হার্টে ৩টি ব্লক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

এই খবর শুনে প্রায় একশত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞসহ চিকিৎসক হাসপাতালে ছুটে আসেন। জরুরি ভিত্তিতে বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য উনাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।

তবে জামায়াত আমির খুব সুন্দর করে সাজিয়ে সহানুভূতিশীল হয়ে বলেন,

“আমি যদি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাই, তবে দেশের সাধারণ মানুষের এদেশের চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। আমি দেশের ডাক্তারদের হাতেই চিকিৎসা নিতে চাই, ইনশাআল্লাহ।”

আগামী শনিবার ইউনাইটেড হাসপাতালেই তার ওপেন হার্ট সার্জারি হওয়ার কথা রয়েছে।

চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *