ঢাকা: তথাকথিত ঘোষণাপত্র নিয়ে আজ যারা উল্লাসের সাথে প্রচার করছেন, কাল তাদের গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়াবে এটিই।

বাংলাদেশ কোনো ঘোষণাপত্রে নয়, গড়ে উঠেছে শহীদের রক্তে আর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে।

আর জামায়াত ঘোষণাপত্রে হতাশ। নাম দিচ্ছে জাতির। জাতি হতাশ জামায়াত কীভাবে বুঝলো? নিজেদের আজন্ম হতাশা জাতির উপর চাপালে তো হবেনা!

তথাকথিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’কে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার অপচেষ্টা একটি সাংবিধানিক ধৃষ্টতা।

এদিকে অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের প্রত্যাশার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

জনগণের প্রত্যাশা নয়, এটি আসলে জামায়াতের প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্রে দেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ নেই।

তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে জনআকাঙ্ক্ষার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে অতীতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অবিলম্বে জুলাই সনদ বর্তমান সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

পিলখানার হত্যাকাণ্ড নেই, তাই জামায়াত হতাশ।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি কালোদিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে ২৫ ফেব্রুয়ারি।

এই দিনটি এলেই সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনা মনে করিয়ে দেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা কত ভয়ঙ্কর।

স্বাধীনতাবিরোধী যে গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসতে পারেনি তাদের সুগভীর চক্রান্তের নীলনকশা হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের অবতারণা করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *