ঢাকা: স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও শয়তান জামায়াত শিবিরের চরিত্র একটুও পাল্টায়নি।
লেবাস ধরা ভণ্ড এইগুলো এখন তেড়েফুঁড়ে উঠেছে। ক্ষমতায় যদি যায় এদের দাঁত নখ একাত্তরে কী। দেখা গিয়েছে, তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হবে!
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনার অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিল জামাত-ই-ইসলামি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গণহত্যায় নাম জড়ায় তাদের।
পরবর্তী সময়েও একাধিকবার নাশকতামূলক কাজে নাম জড়িয়েছে দলটির। শেখ হাসিনার আমলে গুটিয়ে থাকলেও, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিয়েছে জামাত।
এত এত অপরাধ, নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়াই কী আর না চাওয়াই কী জামাতের প্রধান শফিকুর রহমানের?
‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ স্লোগান দিয়ে জামায়াত শিবিরের ভণ্ডরা ১৯৯১ সালে লাল গোলাপীর লেজ ধরে ক্ষমতায় আসে।
তখনও বাংলাদেশে জামায়াত শিবির ঘৃণিত পশু ছাড়া আর কিছুই নয়।২০০১ সালে দেশ ইন্ডিয়া হয়ে যাবে , মসজিদে উলুধ্বনি বাজবে এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে, বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র ও মানুষকে জান্নাতের স্বপ্ন দেখিয়ে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে পরপর তিনবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে।
বিএনপি ও জামায়াতের দুঃশাসনে দেশের মানুষের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
২০১৩ সাল থেকে বারবার সফল হতে হতে ব্যর্থ হওয়া ‘কোটা নাটক’ মঞ্চস্থ করে।
এইবার ২০২৪ সালে মুখোশধারী জামায়াত শিবির সফল হয়। ২০১৮ সাল থেকেই জামায়াত শিবির প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংগঠনের ভিতরে ঢুকতে শুরু করেছিলো।
আজকের যে এনসিপি , ইনকিলাব জিন্দালাশ, নুরার বিকাশ মঞ্চ এসব হচ্ছে জ-ঙ্গী জামায়াত শিবিরের আপডেট ভার্সন।
শেখ হাসিনার সরকার এই জঙ্গীদের চিহ্নিত করে নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে পুরোপুরিভাবে। যার ফল ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট।
২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট ইউনূস, জামায়াত , আমেরিকা ও পাকিস্তান শেখ হাসিনাকে উৎখাত করে ৭১ সালের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে।
জামায়াতের আমিরের কথাবার্তায় অহংকার পুরোদমে রয়েছে। বলেন, অনেকেই আবার বলে, আমাদের একটা দল আছে, যারা বেশি বেশি ক্ষমা চায়। ক্ষমা চাওয়াও অপরাধ তাহলে।
‘শুধু একাত্তরেই ভুল করেছি, আর করি নাই? যারা আমাদের ক্ষমা চাইতে বলে, তারা ফেরেশতার দল? আমরা অন্যদের সম্পর্কে প্রশ্নগুলো এই কারণে তুলি না যে, অতীতের প্রশ্ন যত তোলা হবে, জাতি তত বিভক্ত হবে।’
এখানে স্পষ্ট মশকরা করেছেন তিনি! তিনি যেন বলছেন, আমরা তো সবার থেকে বেশি ক্ষমা চাইছি, তাহলে তো অন্যদের ভুলগুলো কেন তুলব?
কিন্তু জাতি জানে, জামায়াতের অতীত শুধু একাত্তরেই সীমাবদ্ধ নয়— পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে বাঙালির রক্তপাত, পরবর্তী সময়ে জঙ্গিবাদ ছড়ানো, হত্যাকাণ্ড— সবকিছু তাদের হাতে লেগে আছে।
এটা ৭৮ বছরের সব ভুলের জন্য একটা ঢিলা ক্ষমা— যাতে একাত্তরের হত্যাকাণ্ডটাও লুকিয়ে যায়। এর ফলে জামায়াত ভোটে অংশ নিতে পারবে, কিন্তু আসল অপরাধীরা শাস্তি পাবে না।
