ঢাকা: হিন্দু পল্লীতে আগুন দিয়ে, হিন্দুদের দেবদেবী পুড়িয়ে সব ছারখার করে হিন্দুদের দেশছাড়া করে ইউনুস-জামায়াত-এনসিপির রাষ্ট্রবিরোধী আগ্রাসন চলছে! দেশকে তালেবানি দুঃস্বপ্নে ঠেলে দিতে চায় এই ‘বেইমান জোট’!
দুর্বৃত্তদের ছদ্মবেশে ‘ইউনুসের এনসিপি’, জামায়াতের প্রশিক্ষিত জঙ্গি বাহিনী, আর দেশদ্রোহী সুবিধাবাদীরা মিলে হিন্দুদের ধ্বংস করছে আবার এরাই নাকি ক্ষমতায় এলে মন্দির নির্মাণ করে দেবে!
লেবাসধারী জামায়াতের যে কত নাটক! কাঁঠালের আমসত্ত্ব যাকে বলে! অথবা বলতে পারেন ভূতের মুখে রাম নাম।
সাবেক এমপি তার সময়কালে ফুলতলা-ডুমুরিয়ায় প্রায় সাড়ে তিনশ’ কোটি টাকার উন্নয়নকাজের কথা তুলে ধরে গোলাম বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য শ্মশানঘাট নির্মাণ, মন্দির উন্নয়ন, নতুন রাস্তা ও বিদ্যুতায়নসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করা হয়েছিল।’
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী নির্বাচনে সুযোগ পেলে অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার পাশাপাশি বিল ডাকাতিয়ার স্থায়ী সমাধান করা হবে। ভোটার সমাবেশে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের জামায়াত নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘জামায়াত একটি মানবিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়তে চায়, যেখানে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু বিভাজন থাকবে না, সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।
বিশেষ করে যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। চাকরি না পেলে বেকার ভাতা চালু করা হবে। তার ভাষ্য, ক্ষমতায় গেলে একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনই হবে জামায়াতের মূল লক্ষ্য।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, মৌখিক স্বীকৃতির জুলাই সনদ জনগণের কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেস্বর) বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া বাজারের ঈদগাহ ময়দান এবং ফুলতলার আটরা গিলাতলায় আয়োজিত ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু, স্বচ্ছ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষিত সময়ের আগেই ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব গণতান্ত্রিক দল যে যে বিষয়ে একমত হয়েছে সেগুলি লিখিতভাবে প্রকাশ করতে হবে।
অন্যথায় মৌখিক স্বীকৃতির জুলাই সনদ এদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।
বলেন, অতীতে জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে ও ভোটবিহীন নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে জনগণ সেই সরকারকে দেশছাড়া করেছে। ভবিষ্যতেও যদি একইভাবে নিপীড়ন চালানো হয়, তাহলে জনগণ তার প্রতিক্রিয়া দেখাবে।
দাবি করেন, ২০০৯ সালে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১৪ সালে ভোটবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালে ডামি প্রার্থী ব্যবহার করে কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করা হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেয়েছে।