ঝালকাঠি: ছাত্রনেতা থেকে যুব নেতা,যুবনেতা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে নির্বিচারে মিথ্যা মামলা, গণহত্যা, ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি,গুম,খুনসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।
ঝালকাঠিতে আমির হোসেন আমুর ভাতিজি জামাই যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বাবুকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে । রবিবার, ১১ মে বেলা ১১টায় সদর উপজেলার শেখেরহাট ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রাম থেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম বাবুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে শেখেরহাট ক্যাম্প পুলিশ।বাবু শেখেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি।
আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর আপন চাচাতো ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জিয়াউদ্দিন সুজনের মেয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাজিয়া হাসান নুরহানকে বিয়ে করে বাবু আমুর মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বসবাস করতো।
জানা গিয়েছে, শেখেরহাট ক্যাম্পের পুলিশ তাঁকে আটক করে ঝালকাঠি সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। সব ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তারি চলছে। বিএনপির মিছিলে বোমা হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের দেখামাত্রই গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে ইতিহাসের অবৈধ ইউনুস সরকার। পুলিশের উচ্চপর্যায় থেকে মাঠপর্যায়ে এনির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ছাত্রনেতা থেকে যুব নেতা,যুবনেতা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার ক্ষমতা দখল করে নির্বিচারে মিথ্যা মামলা, গণহত্যা, ধর্ষণ,ডাকাতি,চাঁদাবাজি,গুম,খুনসহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে।
যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। বেশিরভাগ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ইন্ধনদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে। যার কোন তথ্য-প্রমাণাদি কিছুই নেই।
বাদীরাও জানেন না আসামী কে বা কারা। বিএনপি-জামাত ও সমন্বয়কদের মাধ্যমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গণহারে আসামী ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত হাজার হাজার মামলা ও লাখ লাখ আসামি করা হয়েছে। যাদের অধিকাংশের অপরাধ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা।