ঢাকা: জুলাই সনদ পুরোপুরি সংবিধান বিরোধী।
সম্প্রতি ঘোষিত জুলাই সনদে মাত্র ৩০% রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করায় এর বৈধতা, জাতীয় গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সনদটিকে “নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল” বলা হলেও এর আইনি ভিত্তি অস্পষ্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান সংশোধন বা নতুন নীতি সংযোজনের ঘোষণা কেবল স্বাক্ষর বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে বৈধতা পেতে পারে না; এর জন্য সংসদীয় প্রক্রিয়া বাধ্যতামূলক।
এদিকে, আখতার হোসেন বলেছেন, শুধু স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব না। বাস্তবায়নের জায়গাটা সুনিশ্চিত হলে এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষরে আগ্রহী।
বলেন, কমিশন জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছে, একে অগ্রগতি হিসেবে দেখি। তবে আদেশে কী আছে- তা উপস্থাপনে অপারগতা প্রকাশ করেছে কমিশন, যা আমাদেরকে আশাবাদী হতে দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে আন্তরিকতার জায়গা থেকে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ প্রস্তুত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেছেন, আরপিওতে যে সংশোধনীর বিষয়গুলো নিয়ে আসা হয়েছে—এগুলোকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখি। আমরা খেয়াল করেছি, আরপিওতে সংশোধনী আনার পর বিএনপি তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে।
আরপিওর সংশোধনী বাতিলে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদনের কথা বলছে। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এ প্রক্রিয়ার অংশ নন।
আখতার বলেন, আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী আটকে দেয়ার যে মানসিকতা, তাতে মনে হয়, সরকারের কোনো বিশেষ উপদেষ্টার কোনো কোনো দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে।
যদি কোনো দলের কারণে সরকার এ সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে আবারো প্রতীয়মান হবে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল, তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
