ঢাকা: বাংলার সতেজ হাওয়া বাতাস পচে গেছে ষড়যন্ত্রে। সনাতনীদের বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্রের দরকার কী? সনাতনীরা তো এমনিতেও জানে তাদের এই দেশের নাগরিক বলে গণ্যই করা হয় না।
যখন যেভাবে ইচ্ছা তাদের লাথি, উসটা মেরে চলে যাচ্ছে। তার মধ্যে আবার মুফতি এলেন হিন্দুদের ফাঁসাতে! এত মাথা ঘামিয়েছেন কিন্তু কী হলো?
এইরকম বহু ধরা পড়েছে মৌলবাদীরা, শোধরায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা খেয়ে গেলেন গাজীপুর মসজিদের ইমাম মুফতি মহিবুল্লাহ, অপহরণ হননি তিনি, নিজেই পরিকল্পনা করে সাজিয়েছিলেন অপহরণ নাটক।
উনি জানতেনই না যে প্রযুক্তি এখন এতো শক্তিশালী! চতুরতা করলেই তো হয়না, প্রযুক্তি জানতে হয়।
এখন চাইলেও সহজে আগডুম বাগডুম নাটক সাজানো যায় না।
যারা প্রকৃত বিবেকবান তারা সেই প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, যা হচ্ছিলো সেটা পুরোটাই উদ্দেশ্যমূলক সাজানো একটি নাটক কিন্তু প্রকাশ্যে বলতে পারছিলেন না।
তাঁর ভাষায়- উনাকে যারা অপহরণ করেছিলেন তারা নাকি কেউ বাংলাদেশী ছিলেন না, বাংলাদেশের কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের, কোনো ধর্মের লোক ছিলেন না।
অথচ অপর দিকে একদল লোক বাংলাদেশের একটি ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের জন্য পুরো দেশকে অস্থির করে তুললেন!
ভাবটা এমন যে, দেশে চলমান ইসকনের সকল সদস্য বিদেশী এবং সন্দেহাতীতভাবে কাজটি ইসকনই করেছে।
উনার প্রতিটি কথাই অসংলগ্ন, সন্দেহজনক ছিলো।
প্রমাণ নেই, নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য নেই অথচ সব কিছুকে সত্য বলে দাবি করে পুরো দেশকে হুলস্থূল করে তুললেন!
প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত একচেটিয়া ভাবে কাউকে যে দোষারোপ করা যায় না সেটাও ভুলে গেলেন!
গাজীপুরের টঙ্গীতে খতিব ও পেশ ইমাম মো. মুহিবুল্লাহ মিয়াজীর কথিত অপহরণের ঘটনা বাস্তবে মিথ্যা। জানিয়ে দিয়েছে পরিষ্কার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)। তদন্তে জানা গেছে, তিনি নিজেই পরিকল্পিতভাবে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান জিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ তাহেরুল হক চৌহান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল যে ইমাম মুহিবুল্লাহকে ইসকন জড়িত কোনো চক্র অপহরণ করেছে। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, তিনি নিজেই শ্যামলী পরিবহনের বাসে টিকিট কেটে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন।’
তিনি আরও জানান, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ইমামের গতিবিধি শনাক্ত করা সম্ভব হয়। পরে পুলিশ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে।
পুলিশের হাতে আটক বাসের এক যাত্রী এবং সুপারভাইজারও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদে মুহিবুল্লাহ নিজেও স্বীকার করেছেন যে, অপহরণের গল্পটি সাজানো ছিল।
