কুমিল্লা: কুমিল্লা,হোমনা উপজেলা,আসাদপুর ইউনিয়নে মাইকে ঘোষণা দিয়ে চার মাজারে ভাঙচুর ও আগুন দেয় ইউনূস বাহিনী! দেশের পরিস্থিতি সংকট মুহূর্তে।
একদিকে বিএনপি, এনসিপি, জামাত, শিবির খুন, চাঁদা আদায়ে ব্যস্ত। অন্য দিকে এই জামাত মাজার ভাঙছে মাজার পোড়াচ্ছে এই হলো দেশের অবস্থা।
দেশে কোন শান্তি নেই। আবার মার্কিন সেনারা সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঘাঁটি করেছে। এই বাংলাদেশে ভবিষ্যৎ অতল গহ্বরে।
এর আগে নুরা পাগলার দেহ কবর থেকে উঠিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে মুসলমানরাই। মুসলমান মুসলমানের লাশ পোড়ায়!
বিশ্ববাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হলো ইউনুস সরকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের।
এই ঘটনা নজিরবিহীন কারণ লাশ তুলে নিয়ে আবার জ্বালিয়ে দেয়া কতটা অমানবিক ও নৃশংস আচরণের বহিঃপ্রকাশ যা এই দেশের মানুষ ও বিশ্ব এর আগে কখনও দেখেনি।
ইউনূস আসার পর এই দেশটাতে কী না হয়েছে?
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন হুঁশিয়ারি দিয়ে ১০ আগস্ট বলেছেন, ‘মাজার, মসজিদ, মাদ্রাসা বা এতিমখানায় হামলা চালালে বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। মামলা হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করবে।’
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট রয়েছে।’
তা এইবার যারা হামলা চালালো, তাদের গ্রেপ্তার করবেন তো?
এইবার কুমিল্লায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে চারটি মাজারে হামলা ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলার হোমনা উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আসাদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খান সমকালকে বলেছেন ‘এ ঘটনায় উসকানি ও ইন্ধনদাতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
ধর্ম নিয়ে নাকি আপত্তিকর পোস্ট দেয়া হয়েছিলো।
ফেসবুকে আপত্তিকর ওই পোস্টকে কেন্দ্র আজ সকাল থেকে এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে মাজারগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তবে এর আগে কী ঘটেছিলো? নুরা পাগলা কী মরে গিয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন?
তা ঐ যুবককে তো গ্রেপ্তার করে আজ আদালতের সোপর্দ করা হয়। তবুও সন্ত্রাসী ক্ষোভ থামলো না? মাজার পোড়াতেই হলো?