ঢাকা: ১০ মাসে ১১ বার বিদেশ ভ্রমণ এবং সম্প্রতি বিতর্কিত যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রশ্ন হচ্ছে, ব্যক্তিগত সফর, রাষ্ট্রীয় ব্যয় — জাতির লাভ কোথায়?

যুক্তরাজ্যের এই ব্যক্তিগত সফরে বাংলাদেশের জনগণের করের টাকা থেকে প্রায় £২৫০,০০০ (আড়াই লাখ পাউন্ড) ব্যয় করা হয়েছে — অর্থাৎ সেটা প্রায় সাড়ে ৩.৫ কোটি টাকার বেশি!

অথচ এত টাকা ব্যয় করেও দেশ কী পেল?

কোন চুক্তি হয়নি, কোনো কূটনৈতিক অর্জন হয়নি, শুধু তাই না , যুক্তরাজ্যের প্রধান নেতা কিয়ার স্টারমারও তাঁর সাথে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন!

উল্লেখযোগ্য যে,প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তাঁর সফর দল গত ৯ জুন ২০২৫ যুক্তরাজ‍্য সফরে যান।

তাঁদের থাকার জন্যে লন্ডন শহরের অন‍্যতম ব‍্যয়বহুল ‘দ্যা হোটেল ডরচেস্টার’-এ ৪ রাতের জন্যে ৩৭টি রুম রিজার্ভ করা হয়।

তাঁদের হোটেল বিলের একটি কপি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৩৯ জনের সফরদল ৪ রাত অবস্থানের জন্য ব্যয় করেছে ২,১০,৩২৫ ব্রিটিশ পাউন্ড বা প্রায় ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা (১ পাউন্ডঃ ১৬৬ টাকা হিসেবে)।

আর এদিকে, সর্বোচ্চ ব্যয়বহুল যে কক্ষ‍, যেখানে বিলাসিতার সাথে অবস্থান করেন প্রধান উপদেষ্টা, সেটি দৈনিক ৬০৪৫ পাউন্ড বা ১০ লক্ষ টাকায় ভাড়া করা হয়।

জানলে অবাক হবেন, ইউনূসের কক্ষেরই বিল আসে ৪০ লক্ষ টাকা বা ২৪,১৮০ পাউন্ড।

জীবন সায়াহ্নে এসেও বিলাসিতার লোভ সামলাতে পারছেন না ইউনূস।

রাষ্ট্রীয় বিপুল অর্থ অপচয় করে কৌশলে তারেক জিয়ার সাথে সাক্ষাৎকারই ছিলো মূল উদ্দেশ্য?

এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়েও পাওয়া যায়নি! ইউনূসকে পাত্তাই দেননি স্টারমার।

এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ— মর্যাদায়, অর্থনীতিতে এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতি, সম্মান সবদিক থেকে বাংলাদেশ হেরে গেছে বিশ্বের কাছে।

যে মর্যাদায় শেখ হাসিনা তুলেছিলেন দেশটাকে, ঠিক সেই পরিমাণ নীচে নামিয়ে আনলেন মুহাম্মদ ইউনূস।

পুরো সফর জুড়ে মুহাম্মদ ইউনূস কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

যে দেশ বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফের দরজায় হত্যে দিয়ে পড়ে থাকে সেই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও তার সঙ্গীদের এধরনের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *