ঢাকা: আখতার হোসেন এত ভালো ব্যক্তি, প্রধান উপদেষ্টা নারীর সাথে হাত মেলালেও আখতার সাহেব কিন্তু একদম ধার্মিক। তিনি কিন্তু হাত গুটিয়ে নেন, নারীর সাথে হাত মেলান না। আমরা তো এটাই দেখলাম।

অথচ এত ধার্মিক ব্যক্তিটি এত জোচ্চোর কীভাবে হলেন? নাকি এদের সবটাই লোকদেখানো? কী বলবেন?

আরো উপদেষ্টারা তো চাঁদাবাজ আছেনই, সে খবর আগেই ফাঁস হয়েছে, এবার ফাঁস হলো আখতার হোসেনের খবর।

উপদেষ্টারা এমন হলে দেশ চালাইবো কেডা? প্রধান উপদেষ্টা তো দেখি মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন সবসময়।

ছাত্র উপদেষ্টাদের চরিত্র পা থেকে মাথা অবধি খোলসা করলেন মুনতাসির।

জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে (এনসিপি) স্থায়ীভাবে অব্যাহতি পাওয়া কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে ছাত্র উপদেষ্টারা।

তিনি বলেন, সকল উপদেষ্টাদের মধ্যে এই ছাত্র উপদেষ্টারা সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে। ছাত্র উপদেষ্টারা দুর্নীতির চ্যাম্পিয়ন।

শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লাইভে এসে তিনি এই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন।

লাইভে এসে মুনতাসির অভিযোগ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর কোন সমন্বয় বা অন্য কেউ যখন কোন সমস্যা নিয়ে বা অভিযোগ নিয়ে কোন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যেত, তখন তাদের বলা হতো ওই যে ছাত্র উপদেষ্টা আছেন তাকে বলো। তিনি যদি অনুমতি দেন তাহলে দেখা করতে দিবো। ছাত্র উপদেষ্টাদের হাতে অ্যাবসুলেট পাওয়ার ছিল।

ডিসি, ওসি, এসেনশিয়াল ড্রাগসের এমডি বসাও, পেট্রোবাংলার এমডি বসাও, একশো কোটি টাকা দুইশ কোটি টাকা নাউ, অ্যাবসুলেট পাওয়ার ছিল তাদের। তারা জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করেছে, বাংলাদেশের মানুষের সাথে বেইমানি করেছে।

এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন দুর্নীতিবাজ। মুনতাসির মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন জেলায় পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) নিয়োগ দিতে ৫০ লাখ করে টাকা দাবি করেছেন আখতার হোসেন। তখন আমি ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরে তখন আসিফ নজরুল স্যাররা দায়িত্ব নিয়েছেন। তখন সারা দেশে পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) বসানো হচ্ছে। তখন আমাদের নরসিংদীর শিরিন আপা (শিরিন আক্তার শেলী), তার ছেলে গোলাম রেশাদ তমাল আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন যিনি আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন; সেই শিরিন আপার নাম প্রস্তাব করলাম।

তিনি বলেন, আখতারের লোকজন তখন শিরিন আপার নাম কেটে দিয়ে সেখানে আরেক নারীর থেকে টাকা খেয়ে, তার নাম দিয়ে দিলো। অথচ এই শিরিন আপা ফ্যাসিবাদী আমলে কী পরিমাণ আন্দোলন করেছে, আমাদের কী পরিমাণ সমর্থন দিয়েছে এই আখতারকেও দিয়েছে, তা বলার মতো না।

মুনতাসির মাহমুদ বলেন, ‘সে (আখতার) বলে পিপি বানাতে হলে ৫০ লাখ টাকা লাগবে। আরেকজনের কাছে থেকে টাকা নিয়ে শিরিন আপার নাম কেটে দিয়েছে আখতার হোসেন।

পরে আমরা, তারেক ভাইসহ আসিফ নজরুলের কাছে গিয়ে বলেছি, উনি নির্যাতিত, আপনিও তাকে চেনেন; তার ছেলেও ভুক্তভোগী। এই মানুষটা সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা নেননি এবং তিনি যোগ্য লোক, তাকে সম্মানিত করেন। আসিফ নজরুলকে এভাবে বলা পর, তিনি শিরিন আপাকে পিপি বানিয়েছে।

প্রেস ক্লাবের একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মুনতাসির বলেন, ‘যখনই আসিফ নজরুল তাকে (শিরিন) পিপি বানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিয়ে বলে—আপা ৫০ লাখ টাকা লাগবে। আপনাকে পিপি বানিয়ে দিয়েছি। কাজ হয়ে গেছে, ৫০ লাখ টাকা লাগবে।

শিরিন আপা খুশি হয়ে নিজের গাড়িতে বসে আখতারের পিএস আতিক মুন্সিকে খুশি হয়ে এক লাখ টাকা দিয়ে দিছে। অনেকে সাক্ষী আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এক লাখ টাকা দেওয়ায় সে (আখতার) রাগে-ক্ষোভে পড়েছে। শিরিন আপাকে আখতার কল দিছে। আখতার বলেছে ৫০ লাখ টাকা লাগবে, আমরা যেমন নাম দিতে পারি তেমনি নাম কেটেও দিতে পারি। এই ধরনের অন্যায় কথা বলেছে।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *