ঢাকা: প্রতিনিয়ত দেশের কারখানাগুলো বন্ধ হচ্ছে আর বেকারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিজের দেশের খোঁজ নেই, ইউনূস পড়ে থাকে ভারত নিয়ে। আর লটবহর তদা জঙ্গীদের নিয়ে ভাব দেখিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করে।

লাখ লাখ মানুষ আজ কর্মহারা, তাদের পরিবারের কি দুর্দশা,এর দায় কে নেবে- ডক্টর ইউনুস সাহেব?

এই এক বছরে খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, লুটপাট, চাঁদাবাজি, ডাকাতি,ঘুষ,দুর্নীতি এমন কোন খারাপ কাজ নাই যেটা হয় নাই।

প্রতিনিয়তই চুরি হচ্ছে এবং ছিনতাইকারীর প্রবণতা তো এটা প্রায় ৭০ ভাগ বেড়ে গেছে, এরপরেও দেশে কোন নিরাপত্তা নেই।

১১ লক্ষ বেকার বেড়েছে, অর্থনীতির চরম বিপর্যয় তারপরেও শুধু শুধু ১৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ বাড়লো, হয়নি কোন নির্মাণ কাজ, গ্যাস সংকটে বন্ধ হওয়ার আশংকা আরও ৪০০ মত কল কারখানা।

বেকার যত বাড়বে,অপরাধও তত বাড়বে সাথে অর্থনৈতিকভাবে ধস নেমে আসবে। এত ধ্বংস দায়ভার কার?

শিল্প ধ্বংসের কারিগর এই ইউনূস।

ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড তৈরি পোশাক শিল্প পড়েছে হুমকির মুখে। শ্রমিকরা বেতন না পেয়ে ক্রমাগত বিক্ষোভ করে যাচ্ছে, এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।

এর মধ্যে ১১ সেপ্টেম্বরের ভাষণে ইউনূস বলেন, ‘মালিক-শ্রমিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এসব সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই বের করব। আপনারা কারখানা খোলা রাখুন। অর্থনীতির চাকা সচল রাখুন।

কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। শুধু বেক্সিমকো গ্রুপের ১৬টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় ৪২ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছেন।

কারখানাগুলো বন্ধ করতে কমিশন গঠনের মত নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। বন্ধ হয়ে গেছে কেয়া গ্রুপের দুটি কারখানা।

কিন্তু সরকারের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম দস্তগীর গাজীর বিশাল কারখানা দিনের পর দিন লুটপাট করে আগুন দেওয়া হয়েছে।

এইদিকে, নাসা গ্রুপের কারখানা বন্ধ।

সাভারের আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুর এলাকার মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চার বছর ধরে নাসা সুপার গার্মেন্টস লিমিটেডে হেলপার পদে চাকরি করে আসছিলেন। হঠাৎ নাসা গ্রুপের কারখানা বন্ধের ঘোষণায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

গ্রুপের শ্রমিকরা কোথায় কাজ পাবেন? নাসা গ্রুপের নাম শুনলেই বিদায় করে দিচ্ছে। কারণ শ্রমিকরা আন্দোলন করেছেন। তাদের কারও কারও নামে মামলাও হয়েছে। এত দুর্ভোগে মানুষ!

শ্রমিকরা কেউ বাসা ভাড়া দিতে পারছেন না, কেউ দোকানের বাকি শোধ করতে পারছেন না, কেউ সন্তানের প্রাইভেট শিক্ষককে বেতন দিতে পারছেন না। অনেকে অসুস্থ বাবা-মাকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টের মধ্যে পড়েছেন।

এর সমাধান কোথায়?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *