ঢাকা: শাপলা টোকাই এনসিপির চাই-ই চাই। যেন জনগণ শাপলা দেখলেই ভোটটা চোখ বন্ধ করে দিয়ে দেবে! মূলত এগুলো নির্বাচন বন্ধ করার এক একটা ফন্দি ছাড়া আর কিছুই না। খেলা শুরু করেছে মাত্র।

সাংবিধানিক আইন ও বিধি অনুযায়ী প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সেই প্রতীক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, তাই আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাইরে নির্বাচন কমিশন কোনো কাজ করে না। আইন ও বিধি অনুযায়ী তারা (এনসিপি) যে প্রতীক চাচ্ছে সেটি দিতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।

এদিকে, শাপলা ছাড়া বিকল্প প্রতীক পছন্দের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে এসে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা বলেছেন, কোনো ধরনের চাপিয়ে দেওয়া প্রতীক তারা নেবে না।

শাপলা প্রতীকের বিষয়ে অনড় অবস্থানের কথা তুলে ধরে ইসির চিঠির জবাব দিয়েছে দলটি।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এনসিপির প্রতিনিধিদল।

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমরা দেখেছি যে নির্বাচন কমিশন একটি স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে এই সিদ্ধান্তগুলো আসলে চাপিয়ে দেওয়া। প্রতীক বাছাইয়ে ইসির চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।

বলেন, ‘ইসির মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক অটোক্রেসি তৈরি হয়েছে। বিদ্যমান দলগুলোকে যে মার্কা দেওয়া হয়েছে কোনো নীতিমালা নেই।

মধ্যযুগীয় বর্বর শাসনব্যবস্থা যেমন দেখতাম রাজা যেমন ইচ্ছা করছে…। রাজা বাদশাহদের আচরণের সঙ্গে তাদের সাদৃশ্য রয়েছে। নির্বাচন আসলে রিমোট কন্ট্রোলটা এটা অন্য জায়গায়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্পাইনলেন (মেরুদণ্ডহীন)।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *