ঢাকা: জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা বা না করা এগুলো স্রেফ টালবাহানা টোকাই এনসিপির। কিংস পার্টির বহু নাটক জানা আছে।
আসল কথা হলো এরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায় না৷ যতদিন পর্যন্ত জেতার নিশ্চয়তা না পাবে ততদিন পর্যন্ত নির্বাচন চায় না এরা৷ ক্ষমতার মোহে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
জুলাই সনদে সই করা না করার প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান জানায় জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে এর আইনিভিত্তি দেওয়াসহ তিন দফা দাবি তুলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আইনিভিত্তি ছাড়া সনদে স্বাক্ষর করা ‘মূল্যহীন হবে’।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করার জন্য যে তিনটি দাবি জানিয়েছে, দাবির মধ্যে রয়েছে–
এক, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া “জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়” অনুসারে সরকার প্রধান হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জারি করবেন।
দুই, জুলাই সনদের ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না।
গণভোটের প্রশ্ন কী হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে এবং তা রাজনৈতিক দলগুলোকে দেখাতে হবে।
এবং তিন, গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদের পক্ষে রায় দেয়, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ এর কোনো কার্যকরিতা থাকবে না; গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের ওপর প্রদত্ত সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে এবং সংস্কারকৃত সংবিধানের নাম হবে ‘বাংলাদেশ সংবিধান, ২০২৬’।
