ঢাকা: ছিলেন পালিয়ে, এখন রাজপথ কাঁপানোর ভাব তাঁর। পলাতক নেতা আসছে রাজপথ কাঁপছে!
৫ আগস্টের পর বহু জঙ্গী যেমন জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে, তেমনি সাজা মওকুফ করে দেয়া হয়েছে, আবার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে বহুজনের। সবই হয়েছে ইউনূসের কৃপায়!
৫ আগস্ট জঙ্গী আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর এই বিএনপি নেতা পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছেন।
ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন এম এ মালিক।
এবার তো তাঁর পারদে থাকা যায় না, এমন অবস্থা। মবের দলের সর্দারের ভাবভঙ্গিই আলাদা।
মালিককে সতর্ক নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ অক্টোবর) এম এ মালিককে এই নোটিশ দেওয়া হয় বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্র জানিয়েছে।
নোটিশে এম এ মালিককে উদ্দেশ্য করে লেখা হয়েছে, আপনি বিদেশ থেকে দেশে আসা-যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে অসংখ্য লোক সমাগম করেন- যা অপরিণামদর্শী কাজ। এতে জনদুর্ভোগ তীব্রতর হয়।
আপনার অবিবেচনাপ্রসূত এই কর্মকাণ্ডে বিমানবন্দরে অসংখ্য যাত্রীকে বিড়ম্বনা ও কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়।
নোটিশে বলা হয়, আগেও আপনি বিমানবন্দরে মাত্রাতিরিক্ত লোক সমাগম ঘটিয়ে আশপাশের সড়কে তীব্র যানযটের সৃষ্টি করেন।
দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হিসেবে আপনার এ ধরনের লোক সমাগম সাংগঠনিক নীতির পরিপন্থি, যা দৃষ্টিকটু ও জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
নোটিশে আরও বলা হয়, আপনাকে নির্দেশক্রমে জানানো যাচ্ছে যে- এখন থেকে আপনার দেশে আসা ও বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরগুলোতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে এমন লোক সমাগম ঘটালে বিএনপি আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে বাধ্য হবে।
যদিও বিএনপি হট্টগোল আর মবের দল। এগুলো লোকদেখানো হতে পারে ভোটের কারণে।
উল্লেখযোগ্য যে, সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফেরেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
বিমানবন্দরে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজারো নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।