ঢাকা: বিএনপির অন্তরে এখনও ‘পেয়ারে পাকিস্তান’ রয়ে গেছে। এর আগে বিএনপি নেতারা যে গলা ফাটিয়ে ফেললো ‘যারা পিআর নির্বাচন চায় তাদের পাকিস্তান পাঠিয়ে দেওয়া হবে’- তা পাকিস্তান তো তাদের জন্মদাতা! এইভাবে বিএনপি নেতারা অপমান না করলেও পারতেন যেখানে তাঁরা নিজেরাই পাকিস্তানের পা চাটছেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হবার নয় মাস পর এবং মুক্তিযুদ্ধে হেরে আত্মসমর্পন দলিলে স্বাক্ষর করার তিন দিন পর ১৯ এ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিএনপির আব্বা ও জামাতের শ্বশুর জুলফিকার ভুট্টো সাহেব বিবিসিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছিলেন – যা হয়েছে (পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্র), এটা সাময়িক, ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান একটি মহান ধারণা, এটি এত সহজে শেষ হয়ে যেতে পারে না।

বিএনপি এটাই আজও বিশ্বাস করে “পাকিস্তান একটি মহান ধারণা”। এটি প্রতিষ্ঠার জন্যই তারা ২০২৪ রাষ্ট্রবিরোধিতার দাঙ্গায় ভাড়া খেটেছে।

কিন্তু এখন ভাড়ার শর্ত পূরণ হচ্ছে না। আবার তারা মুক্তিযুদ্ধের পোশাক পরবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

বাংলাদেশের নাম থাকলে পাকিস্তানের পরাজয়ের ইতিহাস থাকবেই। অথচ নয় মাসের যুদ্ধ এত দ্রুত এইদেশের মুসলমানরা ভুলে গেলো।

মির্জা ফখরুল যে সাচ্চা রাজাকারের সন্তান সেটা প্রমাণ করে দিচ্ছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন একজন যুদ্ধাপরাধী।

তিনি যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় ৭১০ নম্বরে ছিলেন।

এইবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নতুন পাকিস্তানি হাইকমিশনার ইমরান হায়দার।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের চেয়ারপার্সন অফিসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

এখন পাকিস্তান হয়েছে ভিখারি দেশ। এই দেশ বাংলাদেশকে অস্ত্র আর জঙ্গী দিয়েই সাহায্য করেছে এবং করতে পারে আরো। এছাড়া আর কিসের সহযোগিতা?

সাক্ষাৎকালে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক এবং চেয়ারপার্সন পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *