ঢাকা: পাকিস্তান এমন দেশ নিজেদের চলতে কষ্ট হয় তাদের সাথে বাণিজ্য! মহাজন নাকি দেশ আমেরিকার দিকে নিয়ে যাবে এখন দেখি পাকিস্তান!
অবশ্য জঙ্গীদের সাথে অফিশিয়ালি পথ তো খোলা হয়েই গেছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক বাণিজ্য বাড়াতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কমিশন করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন৷
তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানি করতে এ কমিশন করা হবে। পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বেশকিছু সমঝোতা সই হবে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন তিনি।
একটি বিষয় পাঠকদের জানানো ভালো:
পাকিস্তানি পত্রিকা ভয়াবহ প্রতিবেদন করেছে!
গত ১৬ আগস্ট পাকিস্তানের এক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার দিনটিকে স্মরণ করে বলা হয়েছে—
“এই দিনে গাদ্দার মুজিবকে সরিয়ে দিতে আমরা সফল হয়েছিলাম। পাকিস্তানকে দুই টুকরো করে দেওয়া সেই গাদ্দারকে শেষ করা ছিল ইতিহাসের ন্যায়বিচার।”
প্রতিবেদনে আরও লেখা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ছিল—তাদেরকে “দেশপ্রেমিক বীর” বলা হয়েছে।
তারা দাবি করেছে, গত ৫৪ বছর ধরে “সত্যিকারের পাকিস্তানপ্রেমী” লোকজন দুই পাকিস্তানকে এক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর নেতৃত্বে ছিল গোলাম আযম, আর এখন সেই মিশন চালিয়ে যাচ্ছে তার ছেলে আমান আজমি।
তাদের ভাষায়, শেখ হাসিনা অসংখ্য “দেশভক্ত পাকিস্তানি সন্তানদের” হত্যা করেছে—যাদের একমাত্র অপরাধ ছিল পাকিস্তানকে ভালোবাসা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—
এখন যেহেতু “গাদ্দার মুজিব” নেই, তার মেয়ে হাসিনাও নেই, তাই বাংলাদেশের (পূর্ব পাকিস্তান) উচিত দ্রুত পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়া।
এমন ভয়াবহ, রাষ্ট্রবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও—বাংলাদেশের সরকার এখনও কোনো প্রতিবাদ জানায়নি।
তাহলে ভাবুন এই ইউনূস সরকারের মূল উদ্দেশ্য কী?
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে খুবই অর্থবহ আলোচনা হয়েছে। জয়েন্ট ইকোনমিক কমিশন চালু কার্যকর করা এবং নতুন করে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশন গঠনের আলোচনা করছি।
তিনি বলেন, দুই দেশ যৌথভাবে বা বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে ইন্টারমেডিয়েট পণ্য উৎপাদন করতে পারলে তা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে।