ঢাকা: স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন, ছবিসহ ভোটার তালিকা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এই সবই করেছে আওয়ামী লীগ।
অন্যদিকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে বার বার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বিএনপি-জামাত ও স্বৈরশাসকরা।
এখন ১৮ বছর পর চাকরিচ্যুত ৮৫ জন উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কেন আর মানুষ নেই? বরখাস্তের পুনর্বহালের এত তাড়া কেন? বিনা স্বার্থে?
যাদেরকে ফেরানো হচ্ছে আবার চাকরিতে এরা সবাই বিএনপি-জামায়াত আমলের রিক্রুটেড।
শুধু তাই নয় এরা ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি- জামায়াত জোটেকে জিতিয়ে আনতে কাজ করেছেন নগ্নভাবে। তাই ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসব কর্মকর্তাকে চাকুরিচ্যুত করেছিল।
সেসব বিতর্কিত কর্মকর্তাদেরকেই আবার নিয়োগ দিচ্ছেন বর্তমান জঙ্গী ইউনুস সরকার। জামাত- বিএনপি- এনসিপিসহ জঙ্গীদের সমর্থতদেরকে যাতে জিতিয়ে আনা যায়। আদালতও সরকারের আজ্ঞাবহ। যো হুজুর মার্কা আদালত এখন দেশে।
১৮ বছর আগে ফখরুদ্দীন সরকার বিএনপির আমলের নির্বাচন কমিশনার সহ সবাইকেই ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০০৭ ও ২০০৬ সালের অবৈধ ও এক দলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নায়কদের দোষী প্রমাণিত হবার পর বরখাস্ত করেছিলেন।
অদ্ভুত হয়ে গেছে দেশের অবস্থা, ব্যবস্থা! সেই দুর্নীতিবাজ ও দলীয় নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা দিয়ে ফের ফেরত এনে দিয়েছে আদালত!
২০০৭ সালের সেই নির্বাচনের প্রতিশোধ বিএনপি এবার সেই ফেব্রুয়ারিতেই নেবে! এটা নিশ্চিত!
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশের সর্বস্তরের মানুষের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার, নির্যাতন, ধর্ষণ, খুন, অগ্নিসংযোগ, দুর্নীতি করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে বিএনপি- জামায়াত জোট।
এই পাঁচ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়। ফলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাহিনীর প্রতি তীব্র ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হয় জনমনে।
এই ৮৫ জন উপজেলা বা থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সোমবার (১৮ আগস্ট)।
এর আগে ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।
রায়ে ঐ কর্মকর্তাদের সব সুযোগ-সুবিধা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি চাকরি ফেরতের এ রায় দেন।