চট্টগ্রাম: জুলাই ষড়যন্ত্রের স্বাধীনতা! নবীকে কটূক্তি করেছে এই অভিযোগে চারদিকে চলছে অত্যাচার, মব, ঘরবাড়ি পোড়ানো!
অথচ হিন্দুদের ঘরবাড়ি যখন পুড়িয়ে ছারখার করে, দুর্গাপূজায় মণ্ডপে কোরান রেখে আসে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ বাঁধানোর জন্য তখন ধর্ম অবমাননা হয় না।
সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা বাংলাদেশে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। সেগুলো নিয়ে আওয়াজ তুললেও দোষ হয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের।
মৌলবাদী গোষ্ঠীর মুখে প্রাচীন কাল থেকে একটাই কথা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হয় না! অথচ প্রতিদিন হচ্ছে।হিন্দু নির্যাতন, মুক্তি চিন্তকদের উপর আক্রমণ চলছেই।
এবার একজন পল্লী চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে হযরত মুহাম্মদ (স.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে প্রবীর চৌধুরী নামে এক পল্লী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৯ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে বাঁশখালী থানার চাম্বল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।
বলা হয়েছে, প্রবীর চৌধুরী মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
আর বাংলাদেশে এই অভিযোগ যদি কারো উপর দেয়া হয়, তাহলে তাঁকে শেষ না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হয় না।
আদৌ তিনি কটূক্তি করেছেন কিনা, তা জানা যায়নি। এমন বহু ঘটনা ঘটছে দেশে। কারো সাথে রেষারেষি থাকলে একমাত্র ধর্মের অভিযোগ আনলেই সব সেফ।
ধর্মের দোহাই দায়ে বহু জঘন্য কাজ, বহু জুয়া চুরি করে ফেলা যায়। কেউ কিচ্ছু বলবে না।
আদৌ কটুক্তি করেছেন নাকি তার জায়গা জমি দখলের জন্য এই অভিযোগ আনা হচ্ছে। মুসলিম উগ্রবাদীরা যখন মন্দির পোড়ায়, হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ায় তখনতো ধর্ম অবমাননার মামলা হয়না।
নাস্তিকতা কারো অপছন্দের তালিকায় থাকতে পারে। কিন্তু শুধু নাস্তিক বলে কিংবা তার কথা আপনার পছন্দ হয়নি বলে তাকে খারাপ ব্যবহার, নির্যাতন, হত্যা কেন করতে হবে?
আস্তিকতা-নাস্তিকতা কোনোটাই হত্যা, নির্যাতন, খারাপ ব্যবহারকে সমর্থন করে না। ভালোত্ব-মন্দত্বের এমন আরো অনেক সার্বজনীন রূপ আছে।
তবে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বহু আগেই বিলুপ্ত হয়েছে। এখন তো জনগণ কারাগারে বন্দী।