ঢাকা: “মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষিতা প্রতিটি মেয়ের বাবার নামের জায়গায় আমার নাম লিখে দাও। ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর।” বলেছিলেন – মুজিবর রহমান।
সেই ৩২ নম্বর জঙ্গীদের হামলায় মিশে গেল মাটিতে। ইতিহাসকে অস্বীকার করা মানে নিজের শিকড়কে অস্বীকার করা। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দিলেও মননে আছে সর্বদা। একে মুছে ফেলা যায়?
যে জাতি নিজের ইতিহাসকে পোড়ায়, সেই জাতির ভবিষ্যৎ কী? উত্তর দেবে ভবিষ্যৎই!
আর এবার আছেন শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গতকাল প্রায় আড়াইশো জনকে আটক করা হয়েছে। নির্বিচারে কারাগারে তাঁদের হত্যা চলছে।
“গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীদের অভিভাবক শেখ হাসিনা। ঠিকানা ধানমন্ডি-৩২।”
আওয়ামী লীগের গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের অভিভাবক হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, “গ্রেপ্তার হওয়া কর্মীদের অভিভাবক শেখ হাসিনা। ঠিকানা ধানমন্ডি-৩২।” এর মাধ্যমে তিনি মূলত নেতা-কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন যে, দলের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা যেকোনো সংকটে তাদের পাশে রয়েছেন।
ধানমন্ডি-৩২ নম্বর বাড়িটি যেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতির সূতিকাগার, তাই এই ঠিকানা উল্লেখ করার মাধ্যমে তিনি দলের নেতা-কর্মীদের জন্য এটিকে একটি ভরসার কেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরেছেন।
পোস্টে তিনি আরও বলেন, “তিনি সর্বাবস্থায় কর্মীদের পাশে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।” এই বার্তার মাধ্যমে দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের প্রতি শেখ হাসিনার অবিচল সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
দলীয় কর্মীদের গুরুত্ব উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “তৃণমূলই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হৃৎপিণ্ড।” দলের ভিত্তি যে তৃণমূলের কর্মীরাই, তা এই উক্তিতে স্পষ্ট হয়।
রাজনৈতিক যেকোনো পরিস্থিতিতে নেতা-কর্মীদের মনোবল দৃঢ় রাখতে এবং চূড়ান্ত বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, “বিজয় আসবেই।”