গোপালগঞ্জ: বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই এতটা খারাপ অবস্থা হয়নি দেশের।
৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনাহীন বাংলাদেশ একদম শেষ হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি ছিলো তাও মনে হচ্ছে আজ শেষ।
গোপালগঞ্জে একটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে এই উদ্দেশ্যেই টোকাই দল মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি নিয়েছে। তবে জিতে আসতে পারেনি, এসেছে লুকিয়ে।
কথা ছিল গোপালগঞ্জ শেষ করে মাদারীপুরে যাবে। এরপর হুমকি দিলো গোপালগঞ্জ স্বাধীন না করে ঢাকা ফিরবেই না।
কিন্তু যেটা দেখা গেলো, তার হচ্ছে বাধার মুখে আর্মির সাজোয়া যানের ভেতরে লুকিয়ে উল্টো পথে বাগেরহাটের রাস্তা ধরেছে।
সেনাবাহিনীর ভূমিকা আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
এইদিকে, ইউনূস বসে তামাশা দেখছেন এবং বিবৃতি দিচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার পেজ থেকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এটা যে, কিংস পার্টি সেটা আর কতভাবে প্রমাণ করতে হবে?
দেশের এত অস্থির পরিবেশ, রাজনৈতিক সহিংসতা যেখানে ষড়যন্ত্র করে ঘটানো হলো, সেখানে বসে বসে প্রধান উপদেষ্টা বিবৃতি দিচ্ছেন!
এ বিবৃতির মাধ্যমে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী কালীন সরকার আবারও নিরপেক্ষতা হারালো।
হত্যা,ধর্ষণ,চাঁদাবাজি,ছিনতাই কী বাদ আছে? নিজের বাসায় কেউ নিরাপদ না,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ না ।
এই অবস্থায় পরিস্থিতিকে উস্কে দিয়ে উল্টা বিবৃতি দিচ্ছেন তিনি?
অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতিতে না হেসে উপায় নেই। মৌলিক অধিকার কাকে বলে জানে এই দখলদার সরকার?
এনসিপির সমাবেশে বাধা দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে এই সরকার। হামলাকারীদের শাস্তি সরকার নিশ্চিত করবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে সরকার বলছে, গোপালগঞ্জে আজ সহিংসতার ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের লজ্জাজনক লঙ্ঘন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যরা, পুলিশ এবং গণমাধ্যমের ওপর নৃশংস হামলা চালানো, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা এবং ব্যক্তিদের ওপর সহিংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীদের দ্বারা এই জঘন্য কাজটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যা শাস্তির বাইরে থাকবে না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ আছে।
সরকার বলছে, অপরাধীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের সম্পূর্ণ জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রশংসা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা সেনাবাহিনী এবং পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের জন্য তাদের প্রশংসা করি এবং এই বিদ্বেষপূর্ণ হুমকি সত্ত্বেও যারা তাদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন তাদের স্থিতিস্থাপকতা এবং সাহসের প্রশংসা করি। এই বর্বরতার জন্য দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
এটা সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট করে দেওয়া হোক: আমাদের দেশে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই জয়ী হবে এবং হবে।
তারপরেও দীত সাহার মৃত্যু, বা ৭/৮ জনের মৃত্যু নিয়ে টু শব্দটি করলেন না ইউনূস।