ঢাকা: একেই বলে লাল স্বাধীনতা। একে বলে গজব। এই গজবের ভয় নেই এখন মুসলমানদের।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সব আসামি খালাস পেয়েছে।
সব আসামি যদি খালাস পেয়ে থাকে তাহলে ২১ আগস্টের এই ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা কে করেছিল? ভয়াবহ এই হামলায় এত মানুষ মারা গেলেন, পঙ্গু হলেন তাদের কি কোন বিচার হবে না?
২১ আগস্টের চ্যাপ্টার ক্লোজড করে দেয়া হয়েছে। হয়তো ২১ আগস্ট কোনো দিবস বানিয়ে দেয়া হবে এখন। সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে সংঘটিত গ্রেনেড হামলা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞ।
রাষ্ট্রীয় মদদে সংঘটিত এই হামলায় শহীদ হয়েছিলেন মহিলা নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী। আহত হন শত শত মানুষ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন। দীর্ঘ লড়াই, তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ার পর জাতি ভেবেছিল—অবশেষে হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।
কিন্তু হয়নি! কিচ্ছু হয়নি! রাষ্ট্র আজ হেরে গেলো রাজাকার, আলবদরের কাছে।
দেশের মানুষ আজ আবারও হতবাক। বাংলাদেশের আপিল বিভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাস বহাল রেখেছে।
এ রায় কেবল একটি মামলার সমাপ্তি নয়; এটি পুরো জাতির ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থার মৃত্যু। ছিঃ ধিক্কার দেয়ার ছাড়া আর কী দেয়ার আছে?
বিচারহীনতার কালো অধ্যায় এটি! আবার প্রমাণ হলো।
হত্যাকাণ্ডকে বিচারিক দিক দিয়ে, রাজনৈতিক দিক দিয়ে স্বীকৃতি দেয়া হলো। এখন কারো আসমান কাঁপে না।
প্রশ্ন জাগে যদি গ্রেনেড হামলার মতো প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডেরও শাস্তি না হয়, তবে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা কোথায়?
এ রায়ে স্পষ্ট হয়েছে অবৈধ ইউনুস সরকার এবং অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতিরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যই খুনিদের রক্ষা করেছে।
একুশে আগস্টের মতো নির্মম হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের খালাস দিয়ে ইউনুস সরকার প্রমাণ করেছে, তারা জনগণের নয়, বিদেশি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়োজিত।
