ঢাকা: বাকি জঙ্গীরা তো একাত্তর ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে, বিএনপি কী করছে?
ধানমণ্ডি ৩২ দখল নিলো কেন? যাতে জনগণ শ্রদ্ধা জানাতে না পারে বঙ্গবন্ধুকে এইজন্যে তো!? এর মানে কি হয়?
মির্জা ফখরুল বোধহয় ভুলে গিয়েছেন, অথবা মনে করেছেন বাংলাদেশ ভুলে গেছে যে তিনি একজন রাজাকারের সন্তান। এবং নিজেও তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে।
মির্জা ফখরুলের বাবা মির্জা রুহুল আমিন একজন যুদ্ধাপরাধী। ১১ হাজার উল্লেখযোগ্য যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় তার নাম ৭১০ নম্বরে ছিল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন ১৯৭১ সালে ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার রাজাকার।
হত্যা ধর্ষণ ও অগ্নিকান্ডের ঘটনা তিনি সক্রিয়ভাবে সংঘটিত করেছেন ।
১৯৭৩ সালে আটক থাকা মোট ১১ হাজার দালালের একজন ছিলেন রুহুল আমিন।
সেই মির্জা ফখরুলের কথায় ভাষায় প্রতিদিন যখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ক্রোধ ঝরে পড়ে তা দেখে অবাক হয়ে ভাবতে হয়, এই তো রাজাকার, আর তার সন্তান।
শেখ হাসিনা যে তার মতো কোন রাজাকারের সন্তান না, এটা তাকে মনে হয় মনে করিয়ে দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
একজন রাজাকারের ছেলে সারা জীবনই রাজাকারের ছেলে। ২০০৫ সালে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা মির্জা ফখরুলের অবশ্যই মনে রাখা উচিৎ সব কথা।
তিনি দেশে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের কথা বারবার স্মরণ করতে চাই। এজন্য চাই যে, ১৯৭১ সাল আমাকে একটা স্বাধীন দেশ দিয়েছিল, ভূখণ্ড দিয়েছিল, আমাকে একটা স্বাধীন সত্ত্বা দিয়েছিলো এবং সেজন্য আজ আমার অস্তিত্ব আছে।
আমি স্মরণ করতে চাই ২৪ এর জুলাই-আগস্টের শহীদদের, কারণ তারা আমাদের একটা গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।’
‘এই দুটি জিনিসই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আজ একটা প্রচ্ছন্ন প্রচেষ্টা আছে একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার…এটার বিরুদ্ধে কিন্তু আমাদেরকে বাংলাদেশের সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে,’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘২৪ এর জুলাই-আগস্ট যেভাবে সত্য, ঠিক একইভাবে সত্য একাত্তরের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ একটা নতুন করে কথা উঠছে ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশে এক ধরনের উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এই উগ্রবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া যাবে না। উগ্রবাদকে উঠতে দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের বাংলাদেশের যে আত্মা, যে অস্তিত্ব, তা রক্ষা পাবে না…এই কথাটা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই কথাটা আজ এজন্য আরও বেশি বলছি এ কারণে যেন, এখানে বিভক্তি-বিভাজনের রাজনীতি কেউ করবেন না। অতীতে যা হয়েছে হয়েছে। এখন বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য, বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার জন্য, বাংলাদেশের সামনে নেওয়ার জন্য, বাংলাদেশ আরও উন্নত করার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’