ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা কথাটা ভুল বলেননি, যারা একসময় হতাশায় ভুগেছিল, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী তারাই এখন দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

ছেঁড়া হাওয়াই চটি পরে এক দুইটা টিউশনি করে গায়ে ময়লা জামা দিয়ে সারজিস, হাসনাত জঙ্গীরা একসময় হতাশায় ভুগতেন যে একটা ১০০০০ টাকার চাকরি মিলবে কিনা এই দেশে! আর এখন তারা সারা দেশ ঘুরছে সেনা নিরাপত্তা নিয়ে!

এনসিপির সবচেয়ে বড় প্লেয়ার-সারজিস আলম প্রায় দুই শতাধিক গাড়ির বহর নিয়ে একটি রাজনৈতিক শোডাউন করেন!
সাবেক পেশা টিউশনি টিউশনি করে জমানো টাকায় পঞ্চগড়ে শতাধিক গাড়ি নিয়ে শোডাউন ভাবা যায়!

টিউশনির অর্থ এত? ওরে বাবা! প্রধান উপদেষ্টা নামক অপদেষ্টা আসলে ভীষণ বোকা, মুখ ফসকে সব বলে ফেলেন।

সময় কত দ্রুত পাল্টে যায়!আজ বাদশা, কাল রাস্তায় ফকির। আজ ক্ষমতাবান, কাল ক্ষমতাহীন।

সেই সোনালি বাংলা সিনেমায় সালমান শাহ বা ওমর সানিকে রাজীব–খলিলরা উদম কেলানি দিত। কারণ? গরিব নায়ক, ধনী রাজকন্যার প্রেমে পড়ে, এক ঢিলে দুই পাখি বাগাবে- রাজকন্যা আর রাজত্ব দুটোই! খলনায়করা ভাবত, ধনী শশুরদের এই বাহাদুরি চিরকাল থাকবে।

কিন্তু ভাই, দিন বদলাইছে!

আজ যদি রাজীব–খলিল বেঁচে থাকত, লজ্জায় হারপিক খেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হইত।

সেই সারজিস আলম জামাইয়ের কোটা আজ শ্বশুর পর্যন্ত বিচারপতি হয়ে যায়।

তাদের আব্বুর টাকা দিয়ে যদি হাজার গাড়ির বহর নিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়া আসা করে, কোন সমস্যা নাই। কিন্তু পাবলিকের টাকা খরচ করার অধিকার ওদের কে দিল?

রাতারাতি এত টাকার মালিক হলে কার হতাশা থাকবে?

দক্ষিণ এশিয়ার মানবাধিকার সংস্থার (এসএএইচআর) একটি প্রতিনিধিদল শনিবার (৩০ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন এসএএইচআর-এর সহ-সভাপতি রশ্মি গোস্বামী, পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী সারুপ ইজাজ, শ্রীলঙ্কার দীকশ্য ইলাঙ্গাসিংহে ও অনুশায়া কল্লুরে এবং বাংলাদেশের সাঈদ আহমেদ। এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস. মুরশিদ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে যুবসমাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আমরা সব স্তরে যুবসমাজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছি। সংস্কার কমিশনে তরুণদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে, নীতি প্রণয়নসহ রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

যারা একসময় হতাশায় ভুগেছিল, তারাই এখন গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রবীণ প্রজন্ম হিসেবে তাদেরকে পথপ্রদর্শন ও সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। এটি শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।’

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *