চট্টগ্রাম: নির্বাচনী তফশীল ঘোষণাই করতে পারেনি এখনো নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচন কবে হবে সে তারিখও জানেনা কেউ। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে।

আবার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হতে না হতেই বন্দর নগরী চট্টগ্রামে এক বিএনপি দলীয় প্রার্থী, নগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ও শিল্পপতি এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনি চট্টগ্রাম-৮ আসন (বোয়ালখালী- চান্দগাঁও) বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী। এদিকে এরশাদ উল্লাহ’র ওপর হামলার প্রতিবাদে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন।

এটি কি নির্বাচন যাতে না হতে পারে সেজন্য কোন বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্রেরই অংশ কি না তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে।

এটিও যে সেই “ মেটিকুলাস ডিজাইন” এর অংশ নয় তাই বা কে হলফ করে বলবে?

বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার হাজীপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এরশাদ উল্লাহ্।

একই সময় সরওয়ার বাবলা নামে আরেক বিএনপি কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার হাজীপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ এবং দলটির কর্মী সরওয়ারকে বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার খবর শুনে বিএনপির নেতাকর্মীরা এভারকেয়ার হাসপাতালে ভীড় করেছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিলও বের করেছেন বিক্ষুব্ধরা।

ঘটনা সম্পর্কে সিএমপি’র উপ-কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘এরশাদ উল্লাহ সাহেব নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন। সেখানে উনার ওপর হামলা হয়েছে। উনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালে আছেন। উনি ঝুঁকিমুক্ত আছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল বলেন, ‘নগরীর তিন নম্বর পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে নির্বাচনী সভা করেছেন এরশাদ উল্লাহ ভাই।

সভা শেষ করে তিনি সেখানে একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়েন। মসজিদ থেকে বের হওয়ার পর তিনি হেঁটে যাবার সময় সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে গুলি করে।’

নির্বাচনের এখনো অনেক দেরি, কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকের ওপর হামলা-গুলি’র ঘটনা নিঃসন্দেহে আতংকজনক ও নিন্দনীয়।

এ ঘটনা সম্পর্কে সিএমপি’র কমিশনার হাসিব আজিজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় নগর বিএনপি’র আহ্বায়কসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *