চট্টগ্রাম: ধীরে ধীরে অস্থির হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। ইউনূস দেশটাকে শান্তিতে থাকতে দেবেন না।

বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আরও একটি যৌথ সামরিক মহড়া।

গোপন সূত্রে বহু খবর উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ জন মার্কিন সেনা সদস্যের অংশগ্রহণে এই মহড়া ঘিরে নজিরবিহীন গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে।এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে, মার্কিন সামরিক প্রতিনিধি দলের একটি অংশ চট্টগ্রামের কার্যক্রমের পাশাপাশি কক্সবাজার বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেছে এবং সেখানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের যৌথ মহড়া ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স অ্যাড ইন্টেরিম ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তিনি বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক, চট্টগ্রামে এসে মহড়া কার্যক্রম ঘুরে দেখেছেন।

মহড়ায় মার্কিন বিমানবাহিনীর দুটি শক্তিশালী সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কৌশলগত পরিবহন এবং বিশেষ অভিযানে অত্যন্ত পারদর্শী।

মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রায় ১৫০ জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৯২ জন সদস্য। জানা গিয়েছে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই যৌথ মহড়া চলবে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছান মার্কিন সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রায় ১২০ জন সদস্য।

এদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে র‍্যাডিসন ব্লু বে ভিউ হোটেলে।

তবে আরো উদ্বেগের বিষয় হলো, হোটেলের গেস্ট রেজিস্টারে তাদের কারও নাম, পরিচয় নথিভুক্ত করা হয়নি। এত গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *