ঢাকা: জুনের শেষের দিকে চীন সফরে যাচ্ছেন সেনাপ্রধান ওয়াকার- উজ-জামান। বাংলাদেশ সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ- জামান জুনের শেষের দিকে চীন সফরে যাচ্ছেন। মহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্ট করে দেওয়ার পর তিনি চীন যাচ্ছেন যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কোনও “মানবিক করিডোর” থাকা উচিত নয়। চীনই হবে প্রথম দেশ যেখানে বাংলাদেশ সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এই বছরের জুনের শেষের দিকে সফর করবেন।
যদিও সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অধিদপ্তর চীনে তার আসন্ন সফরের বিস্তারিত তথ্য নির্ধারণ করছে, তবে জানা গেছে যে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের ভিত্তিতে জেনারেল জামানের বেইজিং সফর অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশে বিভিন্ন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এখন সেনাবাহিনী। পাশাপাশি সেনাপ্রধান কে অপসারণের ষড়যন্ত্র ও যেন ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে! এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠছে, সেনাপ্রধান কে অপসারণ করে, কাকে সেনাপ্রধানের পদে বসানোর সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে?
জেনারেল ওয়াকার উজ জামান ২৪ শে জুন ২০২৪ থেকে ২৩ শে জুন ২০২৭ পর্যন্ত ৩ বছরের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এদিকে, মানবিক করিডোর নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন জেনারেল। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত একটি নির্বাচিত সরকার থেকেই আসতে হবে। এটি হতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। করিডোরের ব্যাপারে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে।রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়ার বিষয়ও এখানে যুক্ত।সেনাপ্রধান বলেন, আগস্ট থেকে সেনাবাহিনীর ধারাবাহিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কিছু মহল তাকে ও বাহিনীকে অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সার্বভৌমত্বের জন্য ক্ষতিকর– এমন কোনো কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনও যুক্ত হবে না।কাউকে তা করতেও দেওয়া হবে না। এই বাস্তবতায় সব পর্যায়ের সেনাসদস্যকে নিরপেক্ষ থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।