ঢাকা: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাজনৈতিক সহিংসতার মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে, ইউনূস মিডিয়াতে কঠোর সেন্সরশিপের মাধ্যমে বাস্তব ঘটনা প্রকাশ রোধ করেছেন।

এখন সাংবাদিকরা কোনো প্রশ্ন করতে পারেন না। বাক স্বাধীনতা একদম রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে, দেশের দলীয় ব্যবস্থায় সহিংসতার সংস্কৃতি গভীরভাবে প্রোথিত।

ইউনূস বাহিনীর এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ড মানুষ কতদিন সহ্য করবে?

দেশজুড়ে জুলাই আগস্টে আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান।

আক্রান্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন আওয়ামী নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারাগার পরিপূর্ণ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুর‌্যালসহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্মারক ধ্বংস করা হয়েছে। জুলাই আগস্ট হয়েছেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শেষ করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর জন্য।

এবং ইউনূস মূলে। মব ভায়োলেন্সের গতি বাড়ছেই। মবতন্ত্রের দেশ হয়ে গেছে এখন। আমরা ভুলে যাইনি মব ভায়োলেন্সেই সম্পন্ন হয়েছে পদত্যাগগুলো।

জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে কলেজ-স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ব্যক্তি ও শিক্ষক-শিক্ষিকাকে।

জামাত শিবির জঙ্গীগোষ্ঠী তাদের কাজ করেই যাচ্ছে আর ইউনূস চুপ।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর পুরো দেশটাই এলোমেলো। লন্ডভন্ড। কে কী করছে, কেন করছে, কেউ জানে না। শিশুরা বছরের শুরুতে পাঠ্যবই হাতে পায়নি।

১৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হয়ে উঠেছে দাবি দাওয়া আদায় আর রাজনীতি করবার আখড়া। অথচ এই এরাই জুলাই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলো। কেউ বুঝে কেউ না বুঝে।

এখন তারা নিজেদের ছিলে খাওয়া কলার খোসায় নিজেরাই বারবার আছড়ে পড়ছে। জামাত শিবির আর ছাত্রদলের হাতে মার খেয়ে রক্তাত্ত হচ্ছে।

দায় তো নিচ্ছেন না দখলদার ইউনূস।

এখন ইউনূস আমলে প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারছে মানুষকে। গণধর্ষণ চলছে। এতো নৃশংসতা এ জাতি কবে দেখেছে আর?

এভাবে একটা স্বাধীন দেশ চলতে পারে?

ইউনূস গদিতে বসার পর লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে গেছে। কলকারখানা বন্ধ।

ইউনুস গং ক্ষমতা নিয়েছে দেশটাকে লুটেপুটে খেয়ে বিক্রি করে চলে যাবার জন্য ।

আজ বাংলাদেশে যুদ্ধটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে মৌলবাদী চরমপন্থী জঙ্গীদের।

ইউনূস পুরো পাক মানসিকতার। জাতীয়তাবোধ তাঁর মধ্যে নেই।

বাংলাদেশবিরোধী জামাত শিবির, হিজবুত তাহরীর গোষ্ঠী; যে গোষ্ঠীর সর্বময় কর্তা হয়ে আছেন ইউনুস দেশটাকে শেষের পথে নিয়ে গিয়েছেন।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে এই বছরের ১৬ জুন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বর্বর ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।

কাউকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে, কাউকে কুপিয়ে অথবা মারধর করা হয়েছে এবং অন্যদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারে এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজতেও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেলেও, ইউনূস তার অনির্বাচিত শাসনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তৎপর রয়েছেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে কমপক্ষে ৪৭ জনকে বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা সন্দেহ করছেন যে প্রকৃত সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

এই সমস্ত বর্বর হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবার অপরাধী এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি, এমনকি তারা থানা বা আদালতে মামলাও দায়ের করতে পারেনি ভয়ে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পরিকল্পিতভাবে সকল অপরাধের প্রমাণ এবং সঠিক পরিসংখ্যান ধ্বংস করছে।

এমনকি গত ১৫ আগস্টের পর খুনসহ ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পরিবার কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

অন্যদিকে, প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে ভুক্তভোগী পরিবারগুলিকে চাপ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

সরকারের প্রেসের উপর প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকায়, এই মামলাগুলির অনেকগুলিই কম রিপোর্ট করা হয় অথবা সম্পূর্ণরূপে রিপোর্ট করা হয় না।

ইউনূসের শাসনামলে যেসব সাংবাদিক খবর তদন্ত বা প্রকাশ করার সাহস করেন তাদের গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হয়: গ্রেপ্তার, চাকরি হারানো, এবং নিউজরুমের উপর সহিংস আক্রমণ চলে।

কিছু কিছু প্রতিবেদন পরে চাপের মুখে সরিয়ে ফেলা হয়।

পাকিস্তানপন্থী, কখনও নির্বাচিত না হওয়া ইউনূস প্রশাসন জনগণের প্রতি জবাবদিহিতা ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে এবং অসহিষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করছে।

দেশে এখন অবাধে চলছে মব লিঞ্চিং, বিচারহীনতা, সাংবাদিক নিপীড়ন, বিরোধী কণ্ঠ দমন।

২০২৪ সালে ইউনূস সরকার অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসে গ্রামীণ ব্যাংককে ২০২৯ সাল পর্যন্ত আয়করে অব্যাহতি দিয়ে দিয়েছে।

মানবিক করিডোরের নামে ইউনূস সরকার গোপনে বিদেশি শক্তিকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক নিয়ন্ত্রণের দরজা খুলে দিচ্ছে।

তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্ত, দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত যে স্বাধীনতা — সেটা কি এমন বিশ্বাসঘাতক ইউনূসদের জন্য ছিল?

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *