ঢাকা: সাকিব আল হাসানকে যদি একটু বুকের দিকে টান দিতে পারে, তাহলে বিএনপি মনে করছে তাদের খেলাটা জমে যায় আরকি।

আসলে বাংলাদেশে বহু মেধাবী জনেরা আছেন, যাদের মেধা মূল্যায়ণ হয় না। হয়না রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়।

সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চরম পর্যায়ের অন্যায় করা হচ্ছে। এই অন্যায়েরই প্রতিবাদ হয়ে উঠেছে তার বর্তমান পারফরম্যান্স।

সাকিবকে খেলতে না দেওয়ায় শুধু সাকিব নয়, বরং দেশই অধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের অনেক নেতাও ছিলেন, যারা দলের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যদি কাউকে লক্ষ্য করে হয়, তা কখনোই ন্যায়ের মধ্যে পড়ে না।

সাকিব সেটারই শিকার হয়েছেন। রাজনীতি দেখতে গিয়ে মেধা ডুবানো দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।

এভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি চলতে থাকলে ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদদের সম্মানহানির আশঙ্কা থেকেই যাবে।

গণতন্ত্র গণতন্ত্র বলে ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করে খাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে এই দল।

আর এর মাঝে সাকিবকে যদি একটু টানা যায়, তাহলে তো বিরাট মঙ্গল।

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি দেখতে মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে এসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার খেলার শুরুর আগেই তিনি মিরপুরে হাজির হন।

ম্যাচ শেষ করে দ্রুতই বের হয়ে যান মির্জা ফখরুল। তার আগে খেলা দেখার ফাঁকে তিনি কথা বলেছেন ব্রডকাস্টার চ্যানেল টি-স্পোর্টসের সঙ্গে।

সেখানেই তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিএনপি যদি ক্ষমতায় (সরকারে) আসে তাহলে সাকিব আল হাসান আরেকবার জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবেন কি না?

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাকিবের ফর্মের ওপর নির্ভর করবে সেটা। সে ক্রিকেটে থাকবে কি না সেটা তার ওপর নির্ভর করবে। আমি কখনও খেলাধুলার মধ্যে রাজনীতি আনতে চাই না এবং বিশ্বাসও করি না। সুতরাং যে যোগ্য সে অবশ্যই আসবে।’

এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে আওয়ামী লীগে যোগ না দিতে উপদেশ দিয়েছিলেন বিএনপির হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

এবার যদিও ফখরুল কিছু ঘুরিয়ে খেতে চেয়েছেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *