ঢাকা: যারা হিজাব বলে চিৎকার করে গলা ফাটিয়েছে, তারা পরবে হিজাব? নাহ, তারা কেবল তালিবানি শাসন কায়েম করবে। এই সরকার তালে তাল মেলাচ্ছে।
যেহেতু জামাত শিবির ইসলামি শাসনতন্ত্র চায়, হিজাব এখন বাধ্যতামূলক করা হবেই।দুইদিন পর মেয়েদের ঘর থেকে বের হলেই শাস্তির মুখে পড়তে হবে। যেসব মেয়ে হিজাব পরা পছন্দ করে না, তারা মেনে নেবে?
হিজাব বাধ্যতামূলক হলে অন্য ধর্মের নারীরা হিজাবের কারণে সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত হবে।
দেখা গেছে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে সদস্য পদে লড়া সাবিকুন নাহার তামান্না সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। তাঁর ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৪টি।
ফলাফল ঘোষণার সময় তাঁর নাম বিজয়ী হিসেবে উচ্চারিত হতেই ‘হিজাব হিজাব’ শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সিনেট ভবনে। এই মুহূর্তের ভিডিওটি আলোড়ন তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।
যা ঘিরে আলোচনা চলছে। এবার সেই প্রসঙ্গে কথা বললেন এনসিপির সাবেক নেত্রী নীলা ইসরাফিল। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি শিবিরের রাজনীতি ও হিজাব প্রসঙ্গে কথা বলেন।
নীলা নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘ডাকসু ভোট শেষ হইল,কী দেখি? শিবিরের পোলাপাইন প্যানেল মারল ল্যান্ডস্লাইড, ভাইস প্রেসিডেন্ট হইল সাদিক কায়েম ১৪ হাজারেরও বেশি ভোট পাইয়া, জিএস হইল ফারহাদ, এজিএস হইল মোহিউদ্দিন।
মোট ২৮টা পদের মধ্যে ২৩টা ঝুইলা নিল! কিন্তু ব্যাটা, জিতার পরেও শান্তিতে বইসা দেশ গোছাইতেছে না, হিজাব হিজাব কইরা বাজারের হাঁকডাক দিতাছে। আরে গাধা, হিজাব দিয়া কি বৃষ্টির পানি ধইরা রাখবি, না গ্যাস বিল কমাইবি? দেশে প্রতিদিন নারীদের উপরে ধর্ষণ হইতাছে, থানায় কেস জমা, আদালতে মামলা ঝুলছে, আর এই লোকেরা হিজাব খাটাইতে ব্যস্ত। শুনছিস? নারীদের নিরাপত্তা দিবার কোন চিন্তাই নাই, শুধু হিজাবের রাজত্ব!’
ডাকসুকে হিজাবসু তকমা দিয়ে নীলা লেখেন, ‘যে দেশে নারীদের সম্মান নাই, সেই দেশে গায়ে কাপড় চাপাইতে হইল। ভাই, প্রথমে তোর নিজের মাথা কাপড়ে মুড়িয়ে ফ্যালা, তারপর মেয়েদের মাথায় চাপাইবি।
দেশের গরীব পেট ভইরা খাইতে পারে না, তরুণরা চাকরি পায় না, তুই আবার ধর্মব্যবসার লুঙ্গি মাইরা মঞ্চে উঠে গলা ফাটাস! মাইরের উপর মাইর, এইটা ডাকসু না, এক্কেবারে “হিজাবসু”!’
মেয়েদের ওপর জোর করে কাপড় চাপিয়ে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে নীলা আরো লেখেন, ‘শুনে রাখ, বাংলার মাটিতে তোর ওই জঙ্গি ঠেলাঠেলি চলবো না। নারীদের গায়ে জোর কইরা কাপড় চাপাইতে চাইলে, প্রথমে তোর নিজের মুখটা কাপড় দিয়া মুড়াইস।’
