ঢাকা: মুহাম্মদ ইউনূসের গা জ্বালা ধরেছে ভারত নিয়ে। তাই দেখা যাচ্ছে ইউনূস গুরু সহ তাঁর বাহিনী ফের ভারতের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছে।
ইউনুস বাহিনীর প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে। সমীকরণ অত্যন্ত সহজ।
রক্ত ঝরিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিল ভারত। পরাজিত করেছিল পাকিস্তানকে। পশ্চিম পাকিস্তানের সেনার গণহত্যার হাত থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে মুক্তি দিয়েছিল।
কিন্তু মহম্মদ ইউনূসের আমলে সেই বাংলাদেশেই ভারত বিরোধিতা চরমে। ইউনূস বরাবর উস্কানি দিচ্ছেন। তাঁর পরিণতিটাও হয়তো নিকটে, এটা আমরা না বলছে জনগণ।
কট্টরপন্থী-মৌলবাদীদের রমরমা ঘটিয়ে পায়ের উপর পা তুলে তিনি বসে আছেন। শান্তিতে নোবেলজয়ীর মদতেই অশান্ত হয়ে উঠছে পরিস্থিতি।
ভারত নাকি ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে? মহাজন ইউনূসের অভিযোগ এটা!
ওহ আচ্ছা! সঠিক কোনটা তাহলে? জুলাই দাঙ্গা ছিলো না? জুলাই ষরযন্ত্র ছিলো মেটিকুলাস ডিজাইনে ইউনূস গংয়ের ফায়দা হাসিলের ষড়যন্ত্র।
কথাগুলো ভারত বলছে, ভারত জঙ্গীকে প্রশ্রয় দেয় না।
ফ্যাসিস্ট ইউনূস একে একে নিজেদের মামলা নিষ্পত্তি, নিয়োগে স্বজনপ্রীতি, ব্যবসা সম্প্রসার, নিজ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর ফাঁকিকে বৈধ করণ; এসব করে নিজের আখের গুছিয়েছে। এগুলো ভুয়া?
পাশাপাশি যে বিদেশি শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে বসার খায়েশ মেটাতে পেরেছে ইউনূস, তাদের সুবিধার্থে সব দেশ বিরোধী চুক্তি অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে, দেশ বিপদে। গরিবের দিন চলেনা। রোজগার কমেছে, একবছরে শুধু ইউনূসের মবের কারণে শিল্প কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে দেশে লাখেরও বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
এগুলো সব ভুয়া তাই না? ভারতের গণমাধ্যম বলতে হবে না, ইউনূস দেশের জনগণকেই প্রশ্ন করুক, উত্তর পেয়ে যাবে।
সম্প্রতি এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কোনও এক আছিলায় ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চায়। দে
শের অভ্যন্তরে নিজে নির্বাচন সহ নানান ইস্যুতে চাপে ইউনুস। সেই চাপ থেকে মুক্তি পেতেই ভারতকে উস্কানি দিচ্ছে।
গত অগস্টে ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণ করে বাংলাদেশে। এর পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।
বাংলাদেশ গত কয়েক মাসে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন মোকাবিলায় ব্যর্থ। উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীদের শক্তি বেড়েই চলেছে ইউনুসের অধীনে।
এর জন্য নয়াদিল্লি প্রায়শই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করে এসেছে। ইউনুস সেই অভিযোগগুলিকে ‘অতিরঞ্জিত’ আর ভুয়া বলে বর্ণনা করেছেন।
আর ঘরে চাপ কমাতে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধাতে চায় মহম্মদ ইউনুসের সরকার।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনের সময় হিন্দু সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ নাকচ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুবিদ্বেষী সহিংসতা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নতুন ধারার সংবাদমাধ্যম জিটিওর সাংবাদিক মেহদি হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ করেছে জিটিও।
হিন্দুদের ওপর নির্যাতন–নিপীড়নের অভিযোগ নাকচ করে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এখন ভারতের অন্যতম বিশেষত্ব হলো ভুয়া খবর (ছড়ানো)।’