ঢাকা: ইউনূস একটি ‘প্রকৃত, নিরপেক্ষ নির্বাচনের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—কিন্তু যখন এই নির্বাচন নিয়ে অর্ধেক জাতি নীরব থাকে তখন এর অর্থ কী?

নীরব বলতে জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর ভরসা করছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কিছুতে আস্থা নেই সেই কথা জানিয়েও দিচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন যে ২০২৬ সালের নির্বাচন হবে “কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম প্রকৃত নির্বাচন।”

কিন্তু গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতির আড়ালে লুকিয়ে আছে এক নীরব গল্প।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত বছর অগাস্টে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সব সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

দেশের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সমর্থকদের কথা বলার জন্য জেলে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিন গ্রেপ্তারি চলছে।

জাতীয় পার্টিও ভয়ভীতি এবং আইনি হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে।

তাই, আমাদের অবশ্যই জিজ্ঞাসা করতে হবে: যখন এক পক্ষকে কথা বলতে নিষেধ করা হয়, তখন কি নির্বাচন প্রকৃত হতে পারে?

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (২২ অক্টোবর) জার্মান রাষ্ট্রদূত রুডিগার লোটজ সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধান উপদেষ্টা এই বিশাল মহান মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন উৎসবমুখর, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *