ঢাকা: বিএনপি জামায়াতের বিশাল শো ডাউনের পর মনোকষ্টে ভুগছে। যেহেতু সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানায়নি জামায়াত।
শনিবার ( ১৯ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াতে ইসলামী বিশাল শো-ডাউন করেছে প্রচুর টাকা খরচ করে।
তবে সমাবেশে তাদের রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে দাওয়াত দেয়নি। যা বিএনপি’র জন্য মনো কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি’ র দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা এই একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী দল জামায়াতে ইসলামী।
জামায়াতের যে বিশাল শো-ডাউন হলো সেই সমাবেশে কিন্তু দীর্ঘদিনের মিত্র বিএনপিকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সেই সূত্র ধরেই প্রসঙ্গটি আবার তুললৈ বিএনপি। এবং জামায়াতকে অতীতের কথা মনে করিয়ে দিলো, যাতে জামায়াত বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে। অবশ্য কৃতজ্ঞতা বিষয়টি ব্যক্তিগত।
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জামায়াতে ইসলামীর জন্মদাতা। বলেন কামরুল হুদা নামে কুমিল্লার এক বিএনপি নেতা।
তিনি কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক অনুষ্ঠানে কামরুল হুদা এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতার ওই বক্তব্যের ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে কামরুল হুদাকে বলতে শোনা যায়, ‘জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ কে দিয়েছে, বিএনপি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জামায়াতের জন্মদাতা।
সেই জন্মদাতার সঙ্গে তারা বেইমানি করেছে। জন্মদাতার ছবি রাস্তায় ফেলে তারা হঠকারিতা করছে। জামায়াতের অঙ্গসংগঠনের ছেলেরা আমার নেতাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিচ্ছে।
দেশ নায়ক তারেক রহমানকে নিয়ে তারা স্লোগান দিচ্ছে, জিয়াউর রহমানের ছবি পদদলিত করছে। আমরা ভোট দিতে পারি না। এরা ধর্মের কথা বলে বেহেস্তের সার্টিফিকেট বিক্রি করে এদের থেকে সাবধান হবেন।’
অবশ্য কথাগুলো মিথ্যা বলেননি তিনি।