চট্টগ্রাম: খাগড়াছড়ি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
নিজের দেশে অশান্তি রেখে বিদেশে গিয়ে শান্তির বার্তা দেয়া ইউনূসের স্বভাব। জাতিসংঘে গিয়ে বিশ্ব শান্তির জন্য বয়ান দিচ্ছেন। এর চেয়ে ভণ্ডামি আর কি হতে পারে।
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী যখন বাংলাদেশে পা রেখেছেন তখন থেকেই দেশ উত্তপ্ত। এখন তো উত্তপ্ত খাগড়াছড়ি!
চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলের খাগড়াছড়িতে হিংসার ঘটনায় নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ভারতের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
তবে এর পাল্টা দিল ভারত। একেবারে কড়া ভাষায় নয়াদিল্লির তরফে জানানো হল, পাতা নড়লেও ভারতের উপরে দোষ চাপানোর স্বভাব আছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। কিন্তু সেই কাজটা না করে আত্মসমালোচনা করা উচিত মহম্মদ ইউনুসদের।
শুক্রবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল পরিষ্কার বলেছেন, ‘আমরা একেবারে স্পষ্টভাবে এইসব মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার (নিজেদের) দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে পারছে না। আর নিয়মিতভাবে দোষটা অন্যদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার স্বভাব আছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের।’
আরও কড়া ভাষায় ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের উপরে স্থানীয় উগ্রপন্থীরা যে হিংসা চালাচ্ছে, অগ্নিসংযোগ ঘটাচ্ছে এবং জমি দখল করে নিচ্ছে, সেইসব ঘটনায় আত্মসমালোচনা করা এবং গুরুত্ব সরকারে তদন্ত করার উপরে যদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জোর দেয়, তাহলে সেটা মঙ্গলজনক হবে।’
কিছু হলেই ভারতের দোষ! ইউনূস বা তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গোরা ভারত ছাড়া কথা বলেই না। অথচ নিজেদের চলার ঠিক নেই।
