ঢাকা: ভারত মনে হয় অবৈধ বাংলাদেশীদের জন্যে লঙ্গরখানায় পরিণত হয়েছে। যে যেভাবে যেদিক দিয়ে পারছে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়ে বসবাস করা শুরু করে দেয়।

ভারতের প্রত্যেকটি রাজ্যে অবৈধ বসবাসকারী বাংলাদেশিদের ধরপাকড় চলছে এবং ফেরত পাঠানো হচ্ছে। হাজার হাজার অবৈধ বাংলাদেশী ধরা পড়ছে প্রতিদিন।

এবার তো বাংলাদেশ পুলিসের এক কর্তাই ধরা পড়লেন বিএসএফের হাতে। শনিবার সন্ধেয় ওই বাংলাদেশি পুলিসকর্তাকে আটক করে বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা।

আটক করার পর জেরায় জানা যায় আটক ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্তা। নাম আরিফুজ্জামান।

আরিফুজ্জামান ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলা এপিবিএন-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত খান জানিয়েছেন, মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান গত বছরের ৫ আগস্টের আগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন।

পরবর্তীতে তাঁকে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন-২-এ বদলি করা হয়।

সেখানে তিনি গত বছরের ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। ১৪ অক্টোবর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে হাজির না হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সেই থেকে তিনি পলাতক ছিলেন প্রাণ সংশয়ের ভয়ে।

ভারতের তদন্তকারীরা এই অস্বাভাবিক অনুপ্রবেশের পেছনের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন, ওই কর্মকর্তা একা, নাকি কোনো বৃহত্তর চোরাচালান বা অন্য কোনো চক্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা এইভাবে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করতে পারেন, এটি বিরল। তিনি তো নিয়মকানুন সব জানেন। এই চেষ্টা কেন?

শনিবার স্বরূপনগরের বিথারী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করেন। সেইসময়ই তাঁকে আটক করে বিএসএফ।

এরপর জেরা করতেই বেরিয়ে আসে ধৃত আরিফুজ্জামান বাংলাদেশের একজন পুলিসকর্তা ছিলেন। তারপরই তাঁকে নিয়ে আসা হয় স্বরূপনগর থানায়। গোটা বিষয়টি জানানো হয় থানায়। তারপরই অনুপ্রবেশকারী আরিফুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *